ডেস্ক নিউজ:
ভারতকে বাদ দিয়ে বিকল্প দেশ থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানির পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশ থেকে এই দুই পণ্য আমদানির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত নয়াদিল্লির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চিনি আমদানি করেছে। এর ধারাবাহিকতায় আলু ও পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রেও ভারতকে ছেড়ে নতুন সরবরাহকারী খুঁজছে দেশটি। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) ইতোমধ্যে সম্ভাব্য বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, তুরস্ক, জার্মানি, মিসর এবং স্পেনকে চিহ্নিত করেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, “বিটিটিসি বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে। আমরা আমদানিকারকদের এই বিকল্পগুলো বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছি।”
ইন্ডিয়া ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় বাজারে আলু ও পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি এবং রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ বাংলাদেশকে বিকল্প উৎসের দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করেছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৭.২৪ লাখ টন, যার মূল্য ১৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন এবং বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতির কারণে ভারত থেকে আমদানি হ্রাস পাচ্ছে।
বাংলাদেশের এই পদক্ষেপ ভারতীয় বাজারে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের বাণিজ্য অংশীদারিত্ব ভারতের কৃষিপণ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত ছাড়াও পাকিস্তান, চীন এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার আশা করছে, এই সিদ্ধান্ত দেশের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে আলু ও পেঁয়াজের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে বাজার পরিস্থিতি, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং ভারতের রপ্তানি নীতির পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের এই নতুন কৌশল গৃহীত হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours