ডেস্ক নিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলার একদিন পরে বিজয়নগর থানায় আরেকটি পুলিশ বাদী মামলায় প্রধান আসামি হলেন আলোচিত ইসলামী বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরি।
শনিবার বিজয়নগর উপজেলার নাজিরাবাড়ি গ্রামে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত নামে একটি স্থানীয় সংগঠনের আয়োজনে আরেকটি মাহফিলে উপস্থিত হন তাহেরি। সেখানে পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে মাহফিল। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাহেরি স্টেজ এর মাইক দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন। এসময় পুলিশ স্টেজের দিকে এগিয়ে গেলে মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরিকে তার ভক্তবৃন্দ পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তিনি বাড়ির পিছনের বিল দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে যান।
মাহফিলের উপস্থিত উত্তেজিত জনতা পুলিশের ব্যবহৃত ৩টি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় এসআই ফারুক আহমেদ, এএসআই প্রদীপ দাসসহ ৬ জন পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাঁধা ও পরিবেশ অস্থিতিশীল করার অপরাধে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার চর ইসলামপুর মধ্যপাড়ার মন মিয়ার ছেলে ওমর আলী (২৯), একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে হাকিম মিয়া (৩৭), মৃত আব্দুল কাশেমের ছেলে সেলিম মিয়া (২৪) নাজিরাবাড়ির রমজান মিয়ার ছেলে শাহানুর (৩৫), একই গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে মিজান মিয়া, ছতরপুর গ্রামের সেন্ট মিয়ার ছেলে মোশাররফ মিয়া।
রোববার মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরিকে প্রধান করে গ্রেফতার ৬ জনসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০-২৫০ জনকে আসামি করে বিজয়নগর থানার এসআই ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা ও শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রওশন আলী যুগান্তরকে জানান, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা, শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ও স্টেজের মাইক দিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখে পরিবেশ উত্তপ্ত করার অভিযোগে ইসলামি বক্তা তাহেরিকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় ৬ জন গ্রেফতার থাকায় তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।
সূত্র : যুগান্তর
+ There are no comments
Add yours