ডেস্ক নিউজ:
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কীভাবে দেশের সীমানা অতিক্রম করে পালিয়ে গেলেন তা জানতে চেয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সেজন্য পুলিশের আইজিপিকে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি শেষে চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে গত তিন মাস ছিলেন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরে বাংলাদেশের কোথায় তিনি কীভাবে ছিলেন এবং কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বা তিনি কীভাবে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সীমান্ত অতিক্রম করেছেন- এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খ রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে একটি ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে এই ব্যাখ্যা যেন দেওয়া হয় সেটি জানানোর জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর বেলেন, যদি কেউ আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও কাউকে পালাতে সাহায্য করেন তাহলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
এর আগে সকাল ১০টার পর আমির হোসেন আমু, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আব্দুর রাজ্জাকসহ ১৬ আসামিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
জুলাই-অগাস্ট মাসের গণহত্যার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রসিকিউশনকে আরও দু’মাস সময় দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
আগামী ১৮ই ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত। সেই সাথে ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার বিষয়ে ইন্টারপোলের পদক্ষেপের বিষয়েও আদালত জানতে চেয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ওই মামলায় আমির হোসেন আমু, আনিসুল হক, শাজাহান খান, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননসহ সাবেক মন্ত্রী, আমলা, কর্মকর্তাসহ ১৬ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর মামলা তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আরো দু’মাস সময় চান প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
‘গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটনের অভিযোগে গত ১৭ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল ট্রাইব্যুনাল।
+ There are no comments
Add yours