
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন-
ছাত্র-জনতার সফল অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে জনগণ আশা করেছিল,জাতীয় জীবনে সুস্থতা ও স্বস্থি ফিরে আসবে। তবে দূঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকারের প্রায় ৪ মাস অতিক্রান্ত হতে চললেও তা এখনো গুমরে মরছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর ক্রমাগত উর্ধ্বগতি জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই দৃশ্যমান হয় অসংখ্য বিচার বহির্ভূত খুনের ঘটনা। অব্যাহত রয়েছে- মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা, ভাংচুর তথা অগ্নিসংযোগের মতো গর্হিত অপরাধ প্রবনতা। ধর্মীয় আচার- অনুষ্ঠান তথা বিবিধ পালা-পর্বনে হামলার ঘটনা ঘটছে অবলীলায়। উপরন্তু বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানীয় শিক্ষক ও মসজিদের ইমামদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদের ফিল্মি স্টাইলে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনাও ঘটেছে দেশের একাধিক জায়গায়। এসব গর্হিত কাজ কেবল ছাত্রদের কীর্তিগাঁথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে তা নয়, বরং দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ভুলুন্ঠিত হবে নিঃসন্দেহে।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর উদ্যোগে অদ্য ২১ ডিসেম্বর’২৪ শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা কাওরান বাজারস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, ভাইস চেয়ারম্যান আল্লামা শহীদুল ইসলাম, আল্লামা তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী, আতাউল করিম মুজাহিদ, এডভোকেট এমদাদুল হক পাটোয়ারী, যুগ্ম মহাসচিব স ম হামেদ হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব পীরে তরিকত আল্লামা মোশাররফ হোসেন হেলালী, আল্লামা রফিকুল ইসলাম জাফরী, আমজাদ আলী লিটন, অধ্যক্ষ মাওলানা নুরুল আমিন, তরিকুল হাসান লিংকন, মাওলানা ছৈয়দ হাফেজ আহমদ, এ এস এম কাউসার, মাওলানা মোহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল হক, উপাধ্যক্ষ মাওলানা নাছির উদ্দীন আনোয়ারী, মাওলানা মহিউদ্দিন তাহেরী, ডাঃ হাসমত আলী তাহেরী, মাওলানা সরওয়ার, মাওলানা মহিবুর রহমান জালালী, জামাল উদ্দীন, মাওলানা মনির হোসাইন প্রমূখ। উল্লেখ্য যে, সকাল ৭টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। অতঃপর খতমে কোরআন, মিলাদ, কিয়াম, আলোচনা সভা ও আখেরী মুনাজাতের মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
+ There are no comments
Add yours