মিরসরাইয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে জায়গা দখল করে গেইট নির্মাণের অভিযাগ

Estimated read time 0 min read
Ad1

সাদমান সময় মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ::

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাজমুল হক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জায়গা দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার ধুম ইউনিয়নের মহাজনহাট এলাকায় ফখরুল ইসসলাম খান সিআইপির ক্রয়কৃত জায়গায় লোহার গেইট লাগিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ওই জায়গা দখল করা হয়।

ফখরুল ইসলাম খান সিআইপি’র ম্যানেজার দিল মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, ধুম মৌজার বিএস ২৪৩২নং খতিয়ানের বিএস ১০৪০৩ দাগে ৬ শতক জায়গার মধ্যে হেবা ও ক্রয় সূত্রে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ জায়গা ফখরুল ইসলাম খান সিআইপির দখলে ছিল। একই দাগে নাজমুল হকের মা হালিমা খাতুনও এক দশমিক ৩৩ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে। কিন্তু হালিমা খাতুনের ছেলে নাজমুল হক গত বছরের জানুয়ারি মাসে দাগের পুরো জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ব্যপারে ফখরুল ইসলাম খানের পক্ষে জিয়া উদ্দিন বাবলু বাদি হয়ে নাজমুল হককে বিবাদী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিরোধীয় সম্পত্তিতে উভয় পক্ষের মধ্যে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার ব্যবস্থা নিতে জোরারগঞ্জ থানার ওসিকে আদেশ দেন।

আদালতের ওই আদেশ অমান্য করে গত বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) নাজমুল হক জোরপূর্বক ফখরুল ইসলাম খানের জায়গা ঘিরে লোহার গেইট লাগিয়ে জায়গা দখল করে নেয় এবং লোহার গেইট লাগানো ফলে চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিরোধপূর্ণ জায়গার পাশে রয়েছে ফখরুল ইসলাম খানের বিশাল দিঘী। ওই দিঘীতে যাওয়ার জন্য চলাচলের পথ হিসেবে বিরোধপূর্ন জায়গাটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ওই জায়গায় নাজমুল হক সীমান প্রাচীর তৈরি করে লোহার গেইট লাগিয়ে দেয়ায় দিঘীতে যাওয়ার পথটিও বন্ধ হয়ে গেছে। ফখরুল ইসলাম খান মুঠোফোনে জানান, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিচারের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু ভুমিদস্যূ নাজমুল হক আদালতে আদেশ অমান্য করে তার জায়গা দখল করে নেয়। তার লোকজনকে নানাভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে যাচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে নাজমুল হক জানান, ১০৪০৩ দাগে আমার মায়ের নামে খরিদ করা ৩৮ শতক জায়গা রয়েছে। দীর্ঘ ২৭/২৮ বছর ধরে ওই জায়গা আমাদের দখলেও রয়েছে। আমরা অনেকদিন দেশে না থাকার কারণে ৩শতক জায়গা নামজারি করতে পারিনি। বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে গত বছরের ২৩ নভেম্বর আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি ওই জায়গায় কোন কাজ করিনি। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সরেজমিনে এসে আমাদের পক্ষে তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার পর আমি গেইট স্থাপনের কাজ করেছি। পরে প্রতিপক্ষ আরো একটি মামলা করেছে। কিন্তু ওই মামলার কপি আমার কাছে না আসায় আমি কাজ করেছি।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর হোসেন মামুন জানান, ওই বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে এবং আদালত স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। নাজমুল হক ওই জায়গা কাজ করার খবর পেয়ে আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours