‘দি মেসেজ’র মহিলা মাহফিলে বক্তারা
ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি লাভের লক্ষ্যে তাসাওউফ চর্চার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির উত্তম পন্থা হলো উসুলে সাবা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
১১ জানুয়ারি শনিবার নগরীর ষোলশহরস্থ এলজিইডি মিলনায়তনে ‘শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন মহিলাদের আত্মজিজ্ঞাসা ও জ্ঞানানুশীলন মূলক সংগঠন ‘দি মেসেজ’ এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে প্রবর্তিত বিশ্বসমাদৃত একমাত্র ত্বরিকা ‘ত্বরিকা-ই-মাইজভাণ্ডারীয়ার প্রবর্তক গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র ১১৯তম উরস শরিফ উপলক্ষে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) ট্রাস্টের ১০ দিনব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশেষ মহিলা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
‘দি মেসেজ’ এর আহ্বায়ক গুলেনারা সিদ্দিকা শবনমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলের প্রধান আলোচক বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ও সাজ্জাদানশীন পীরজাদা আলহাজ্ব মুফতি বাকীবিল্লাহ আল-আজহারী আল-মাইজভাণ্ডারী “বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মাইজভাণ্ডারী দর্শন ও গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) প্রবর্তিত সপ্ত কর্ম পদ্ধতি” বিষেয়র উপর আলোচনা করেন।
সম্মানিত আলোচক বলেন, “মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা একটি স্বতন্ত্র ত্বরিকা ও স্বতন্ত্র রূপ। যুগ পরম্পরায় বিভিন্ন ত্বরিকতের শায়েখগণ মানুষের হেদায়াত ও আত্মশুদ্ধির জন্য পবিত্র কোররআন ও সুন্নাহ্ তথা ইসলামি শরিয়তের সমর্থনে বিভিন্ন কর্মপদ্ধতি প্রণয়ন করেছেন। গাউসুল আজম শাহ্ সূফি হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.) আমাদের জন্য যে কর্মপদ্ধতি দিয়েছেন তা হলো উসুলে সাবা অর্থাৎ সপ্তকর্ম পদ্ধতি। ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তি লাভের লক্ষ্যে তাসাওউফ চর্চার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির একটি উত্তম কর্মপদ্ধতি হলো উসুলে সাবা। উসুলে সাবা বলতে মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকতের সাতটি মূলনীতি বা সপ্তকর্মপদ্ধতিকে বুঝায়।
এই কর্মপদ্ধতির উদ্দেশ্য হলো নফসে ইনসানী বা কু-প্রবৃত্তির বিনাশ ঘটিয়ে রূহে ইনসানী তথা সুপ্রবৃত্তি সৃষ্টির মাধ্যমে সহজ পন্থায় আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা ও প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)’র রেজামন্দি বা সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারা। যদি আমরা উসুলে সাবা অনুশীলন করে চলতে পারি তবে আমাদের আভ্যন্তরীণ জগতে এমন একটি অবস্থান তৈরি হবে যেখানে আল্লাহ্ তায়ালার নূর, রহমত, নেয়ামত এবং শান্তি আমাদের জীবনে আসার জন্য সুন্দর সুযোগ সৃষ্টি হবে। মূলত কুপ্রবৃত্তি দমন করা এবং সুপ্রবৃত্তি সৃষ্টি করার জন্য মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকতের উসুলে সাবা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
মাহফিলে কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হামিদা রশিদ সুমাইয়া, নাতে মোস্তফা (দ.) পরিবেশন করেন-ওয়াসিমা রহমান প্রিয়ন্তি এবং যৌথভাবে মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশন করেন মিফতাহুল জান্নাত, ওয়াজিহা রহমান প্রিয়তা -ওয়াসিমা রহমান প্রিয়ন্তি। শেষে মিলাদ, ক্বিয়াম এবং মুনাজাতের মাধ্যমে উক্ত মহতি মাহফিল সুসম্পন্ন হয়।
+ There are no comments
Add yours