ডেস্ক নিউজ:
বাংলাদেশে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা, বিশ্বসমাদৃত ত্বরিকায়ে মাইজভাণ্ডারীয়ার প্রবর্তক ও পরিপূর্ণ রূপকার গাউসুল আযম হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর ১১৯তম ১০ মাঘ উরস শরিফ উপলক্ষে ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’-এর ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন আত্মোন্নয়নমূলক তারুণ্যনির্ভর সংগঠন ‘তাজকিয়া’ কর্তৃক পূর্ব ধারাবাহিকতায় আয়োজিত “যুগ জিজ্ঞাসার আসর-‘২৫” গত ১২ জানুয়ারি রবিবার “বাঙালি মানস-সংস্কৃতি ও মাইজভাণ্ডারী ত্বরিকা” প্রতিপাদ্য বিষয়ে এসজেডএইচএম ট্রাস্ট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
মাইজভাণ্ডারী একাডেমির গবেষণা সহকারী মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী ও মাইজভাণ্ডারী একাডেমির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইকবাল এবং আলোচনা করেন ঢাকাস্থ শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন জামি। এরপর স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুভূতি প্রকাশ ও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন উপস্থিত তাজকিয়ানরা। আলোচনায় উঠে আসে, “ইসলামের বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে বিশ্ব সংকট নিরসন করত বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখছে এ ত্বরিকার দর্শন। এরই অংশ হিসেবে পবিত্র কোরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে এদেশের আঞ্চলিক মানস-সংস্কৃতি বিবেচনায় রেখে বহু ধর্ম-বর্ণ-জাতি ঘেঁষা এ জাতিকে পারস্পরিক সহমর্মিতা-সামাজিকতা-শান্তিপূর্ণ মনোভাব পোষণ ও বাস্তবায়ন করার মাধ্যমে বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার দর্শন বাতলে দেয় এ ত্বরিকা। গোড়া থেকেই এদেশের ভাষা, সংস্কৃতি, স্বাধীনতা রক্ষায় এ ত্বরিকার অবদান অত্যুজ্জ্বল ও দৃষ্টান্ততুল্য।”
পরিশেষে তাজকিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. কৌশিক সায়মন শুভ’র সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
+ There are no comments
Add yours