ক্ষমতায় ফিরে ইরানের ওপর ট্রাম্পের প্রথম নিষেধাজ্ঞা

Estimated read time 0 min read
Ad1

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর ইরানের ওপর প্রথম দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই তেহরানের ওপর “সর্বোচ্চ চাপ” আরোপের জন্য জোর দিয়ে আসছেন।

আলজাজিরা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার মার্কিন ট্রেজারি এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে বলেছে, এগুলো ইরানের “তেল নেটওয়ার্ক” এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য।

ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেনের সময় মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জাহাজ ও ব্যক্তিবিশেষ নতুন আরোপিত এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় পড়বে। ইরানের ওপর আগে থেকেই আরোপিত নিষেধাজ্ঞাসমূহ কার্যকর করতে নিয়মিতভাবে এ রকম পদক্ষেপ নিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইরানি শাসনব্যবস্থা তার পারমাণবিক কর্মসূচির উন্নয়ন, মারাত্মক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যান তৈরি এবং আঞ্চলিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করার জন্য তার তেল রাজস্ব ব্যবহার করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের এই ক্ষতিকারক কার্যকলাপের জন্য তহবিল সংগ্রহের যেকোনো প্রচেষ্টাকে আক্রমণাত্মকভাবে লক্ষ্যবস্তু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইরান দীর্ঘদিন ধরে তার তেল খাতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা এবং রপ্তানি বাজেয়াপ্ত করার প্রচেষ্টাকে “জলদস্যুতা” হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। বেসেন্ট জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি ((ইরানের তেল খাতের সঙ্গে সংশিষ্ট)) অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে রয়েছে চীন, ভারত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, ওয়াশিংটন “ধ্বংসাত্মক এবং অস্থিতিশীল আচরণ” সহ্য করবে না।

নতুন করে চাপ প্রয়োগ সত্ত্বেও ট্রাম্প তেহরানের সাথে কূটনীতির দরজা খোলা রেখেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি ইরানি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে ইচ্ছুক। আমি চাই ইরান একটি মহান এবং সফল দেশ হোক, কিন্তু এমন একটি দেশ যার পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।

খবর বাংলা ২৪

নির্বাহী সম্পাদক, খবর বাংলা ২৪ ডট নেট

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours