ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারটার দিকে সদর উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিম মিয়া ঝালকাঠি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং দুপুরে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে জানা যায়, কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম মিয়া ২০১১ সন থেকে ২০১৬ সন পর্যন্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন আব্দুস শুক্কুর মোল্লা।
এ বছরের নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন পান আব্দুস শুক্কুর মোল্লা। আব্দুর রহিম মিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারটার দিকে রহিম মিয়া কর্মী সমর্থক নিয়ে উপজেলা পরিষদে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে পরিষদের সামনে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শুক্কুর মোল্লার ছেলে রাহাত মোল্লা ও র্যাভেন মোল্লা অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে রহিম মিয়াকে লাঞ্ছিত করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় রহিম মিয়ার কয়েকজন সমর্থক বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করা হয়। কিছুক্ষন পরে কীর্ত্তিপাশার গন্যমান্য ব্যক্তি আব্দুর রহমান, মো: মকিম মিয়া, হাফিজুর রহমানদের চাপে কিছু কাগজপত্র রেখে মনোনয়নপত্র ফেরত দেয়া হয়। রহিম মিয়া অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়ারম্যান শুক্কুর মোল্লার ছেলেরা আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য হুমকি দিচ্ছেন। আমি যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি তাহলে তারা আমাকে হত্যা করতে পারে।
তাই আমি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি। ঝালকাঠি থানার ডিউটি অফিসার আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রহিম মিয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যারের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বর্তমান চেয়ারম্যান এবং প্রতিদ্বন্দ্বিত প্রার্থী আব্দুস শুক্কুর মোল্লা বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় আমার বড় ছেলে রাহাতের সাথে রহিম মিয়ার কথাকাটাকাটি হয়েছে। আমার ছোট ভাই মাহফুজুর রহমান পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হালিম তালুকদারের সামনে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। জীবননাশের হুমকির অভিযোগ সত্য নয়।
+ There are no comments
Add yours