আজিজুল হক চৌধুরীঃ
চট্টগ্রামে বোয়ালখালীতে জায়েদ সারোয়ার মিশকাত (৯) নামের এক হেফজখানার ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী মিশকাত পূর্ব গোমদন্ডী শাহ মোহাম্মদ চৌধুরী পাড়ার প্রবাসী মুনছুর আলমের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মো. কাউছারকে (২১) আটক করে বোয়ালখালী থানা পুলিশ। তিনি বাঁশখালী উপজেলার বইলছড়ি ইউনিয়নের গজারার বাড়ীর বাসিন্দা।
জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে পূর্ব গোমদন্ডী নুরীয়া সিদ্দীকীয়া হাফেজখানা ও মীর ছমুদা এতিমখানায় মিশকাতকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে আহত করেন শিক্ষক কাউছার।
বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিভাবকরা জানতে পেরে মিশকাতকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। শিক্ষককের বেধড়ক পিটুনিতে আহত মিশকাতের সারা শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন এবং গায়ে প্রচন্ড জ্বর।
আহত শিক্ষার্থী মিশকাত জানায়, এশার নামাজের পর ঘুমানোর জন্য বিছানা পরিস্কার করে ময়লা ফেলতে বাইরে যায়। ময়লা ফেলে আসলে শিক্ষক তাকে কোন কিছু জিজ্ঞাসা না করে বেত দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। পরে জ্বর আসলে সকালে ঔষধ দেয়। মিশকাতের মা জানান, মিশকাত এক বছর ধরে ওই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার খবর পেয়ে তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে সন্তানের এ অবস্থা দেখতে পান। ওই সময় তাকে নিয়ে আসতে চাইলে মাদ্রাসার শিক্ষকরা বাধা দেন। পরে এক প্রকার জোর করে তার সন্তানকে উদ্ধার করেন তিনি। এলাকাবাসির সহযোগিতায় সন্তানকে নিয়ে থানায় গেলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. কাউছার বলেন, ‘ছাত্রটি দুষ্টুমি করায় তার মাথা ঠিক ছিল না। তাই তাকে মেরেছেন।’ তবে এভাবে মারাটা তার উচিত হয়নি বলে জানান তিনি।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
+ There are no comments
Add yours