
সাতকানিয়ার ডাকাত সন্দেহে দুজনকে হত্যা পরিকল্পিত: জামায়াত।
মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছনখোলা এলাকায় ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ছনখোলা গ্রামের দুজনকে হত্যার ঘটনায় বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারে জামায়াত নেতৃবৃন্দের প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছেন সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির–সেক্রেটারি, এওচিয়া ও কাঞ্চনা জামায়াতের আমির–সেক্রেটারি যথাক্রমে মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ তারেক হোছাইন, আবু বক্কর, ফারুক হোসাইন, মাওলানা আবু তাহের ও জায়েদ হোসেন।
চট্টগ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪চট্টগ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ছনখোলা গ্রাম বহু আগে থেকেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকা। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম প্রকাশ মানিক চেয়ারম্যান ছনখোলা গ্রামের পাহাড়, পাহাড়ি গাছ ও ইটভাটার নিয়ন্ত্রণ নিতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। আওয়ামী সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করলেও তার বাহিনী ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এতে আরও দাবি করা হয়, মানিকের ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এই সন্ত্রাসীরা এখনও নানা অপকর্মে জড়িত। গতরাতে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দুঃশাসনে নির্যাতিত, মজলুম ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে এনে মাইকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাত আখ্যা দিয়ে মূলত গণপিটুনির নামে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজ ও হারুনের পরিকল্পনায় কুপিয়ে দুজনকে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে, যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
+ There are no comments
Add yours