
‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে অপহরণ, চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার চার
ডেস্ক নিউজ:
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক জিন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবেদীন আল মামুন এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) পশ্চিম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার হুসাইন মোহাম্মদ কবির ভূঁইয়ার নেতৃত্বে পাহাড়তলী জোন পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নাজমুল আবেদীন, নইমুল আমিন, আরাফাত হোসেন ও রিসতি বিন ইউসুফ। তাদের সবার বয়স ২২ থেকে ২৩ এর মধ্যে।
সিএমপির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) তৈরি পোশাক কারখানা প্যাসিফিক জিন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবেদীন আল মামুন ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক মো. জুয়েলকে আকবর শাহ থানাধীন সিডিএ আবাসিক এলাকার প্রভাতি স্কুলের বিপরীতে অবস্থিত বাসা থেকে অপহরণ করা হয়।
অপহরণকারীরা ভিকটিমকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, পাহাড়তলী কর্নেল হাট এবং আকবর শাহসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করায়। এ সময় আবেদীন আল মামুনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এর মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা নগদে আদায় এবং বাকি ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক নেয়া হয়। পরে অপহরণকারীরা ভিকটিমকে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটাল এলাকার সামনে রেখে পালিয়ে যায়।
অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের সামনে থেকে আবেদীন আল মামুন ও তার গাড়িচালককে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে পর্যায়ক্রমে নাজমুল আবেদীন, নইমুল আমিন, আরাফাত হোসেন ও রিসতি বিন ইউসুফকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিএমপির আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, আটক যুবকেরা নিজেদেরকে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নিজেদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আসছে। তবে কাগজে-কলমে কোথাও তাদের সমন্বয়ের পথপদবী নাই।
সূত্র: একাত্তর
+ There are no comments
Add yours