
আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
ডেস্ক নিউজ:
আজ ৮ মার্চ, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিনটি নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অর্জনকে স্মরণ করে এবং নারী অধিকার, সমতা ও ক্ষমতায়নের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদযাপিত হয়।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “এক্সেলেরেট একশন”। এই প্রতিপাদ্যের মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তারা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব নারীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে একটি বস্ত্রশিল্প কারখানায় নারী শ্রমিকরা কাজের অমানবিক অবস্থা, কম মজুরি এবং ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ১৯১০ সালে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিন নারীদের সম-অধিকারের দাবিতে একটি আন্তর্জাতিক দিবস পালনের প্রস্তাব দেন। ১৯১১ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে নারী দিবস পালন শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে স্বীকৃতি
বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হবে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা, সেমিনার, র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও, নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশে নারীদের অগ্রগতি প্রশংসনীয়। শিক্ষা, রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে নারীরা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছেন। তবে এখনও নারীদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ, যৌতুকের সমস্যা, কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য এবং সামাজিক কুসংস্কার নারীদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস শুধু নারীদের জন্যই নয়, এটি সমগ্র সমাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। নারী-পুরুষের সমতা নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। নারীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
+ There are no comments
Add yours