আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির রাজাপুরে আসামির পক্ষ নেয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার জগৈরহাট গ্রামের মো. আনোয়ার খন্দকারের ছেলে মো. রুবেল হোসেন এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে রুবেল জানায়, একই এলাকার মৃত মকবুল মৃধার ছেলে মো. সিদ্দিকুর রহমান তার দলবল নিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রুবেলের লক্ষাধিক টাকা গাছ, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়।এ ঘটনায় রুবেল থানা পুলিশের আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হয়ে আদালতের আশ্রয় নেয়। আদালত ঐ ঘটনার তদন্ত ভার দেয় ডিবির কাছে।
ডিবির এসআই হাবিবুর রহমান তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে বাদীকে না জানিয়ে গত ১৫ মার্চ ঘটনা স্থলে গিয়ে আসামিদের সাথে দেখা করেন। ঘটনার স্থল থেকে ফেরার সময় হাবিবুর রহমান খরচ বাবদ বাদীর কাছ থেকে নগদ দুই হাজার টাকা নিয়ে মৌখিকভাবে ১৭ মার্চ তাকে অফিসে উপস্থিত থাকতে বলেন। ১৭ মার্চ অফিসে উপস্থিত হলে ১৮ মার্চ স্বাক্ষীদের নিয়ে ডিবি অফিসে উপস্থিত থাকার জন্য একটি নোটিশ ধরিয়ে দেয় রুবেলকে।
নোটিশ মতে রুবেল স্বাক্ষীদের নিয়ে ডিবি অফিসে উপস্থিত হলে হাবিবুর রহমান আসামিদের পক্ষ নিয়ে তাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। এক পর্যায়ে রুবেলের মাকে অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ করে এসপিসহ যেখানে খুশি যা বলে তাদের অফিস থেকে বের করে দেয়। প্রমান স্বরুপ রুবেলের কাছে ঘটনার রেকর্ডিং রয়েছে।
রবিবার সকাল ১০টায় রাজাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে মো. রুবেল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ করেন। এ সময় তার মা উপস্থিত ছিলেন। রুবেল আরো জানায় সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি আগেই জানাজানি হলে সংবাদ সম্মেলনটি না করার জন্য রুবেলের ওপর বিভিন্ন ভাবে চাপপ্রয়োগ করেন হাবিবুর রহমান। বর্তমানে রুবেল ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তাই অসাধু পুলিশের হয়রানি ও প্রতিপক্ষের প্রতিহিংসামূলক আক্রমন থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকল উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেন রুবেল।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই মো. হাবিবুর রহমানের কাছে জানতে চাইতে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।
রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, রুবেল হোসেন বা তার পরিবারের কেউ আইনের আশ্রয় নিতে আমাদের কাছ আসেনি।
+ There are no comments
Add yours