দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ হেফাজতের

Estimated read time 1 min read
Ad1

দুই বক্তার ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ হেফাজতের

ডেস্ক নিউজ:

গত ৩ মে আয়োজিত মহাসমাবেশে দুই বক্তার অনাকাঙ্ক্ষিত ‘আপত্তিকর’ শব্দচয়নের জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৬ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, কোনো আপত্তিকর শব্দ হেফাজত সমর্থন করে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের মহাসমাবেশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে দুজন বক্তা আপত্তিকর শব্দচয়ন করেছেন, যা আমরা সমর্থন করি না। কেউ এতে আহত হলে তাদের প্রতিও আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। একইসাথে সেক্যুলার প্রগতিশীল ঘরানার যারা এতকাল আলেম-ওলামাকে বিদ্বেষমূলকভাবে ‘জঙ্গি’, ‘মৌলবাদী’, ‘ধর্মব্যবসায়ী’ ও ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে কটাক্ষ করে এসেছেন, তাদেরকেও আমরা এ ধরনের আপত্তিকর শব্দচয়ন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আর শাপলা চত্বরের গণহত্যায় আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শক্তিকে কারা উৎসাহ দিয়েছিল তা আমরা ভুলে যাইনি।

এতে আরও বলা হয়, নারীর প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রশ্নই আসে না। মতাদর্শিক লড়াইকে নারীর প্রতি ঘৃণা আকারে দেখাটা স্রেফ মূর্খতা। আমরা আবারও বলছি, যার যার ধর্মীয় বিধান অনুসারে নারীর ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আমরাও সংস্কারকাজে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহী। কিন্তু শুরুতেই আলেম-ওলামা ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষজ্ঞকে বাদ দিয়ে একদল এনজিওবাজ নারীবাদীকে নিয়ে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হলো। যার ফলে এমন একচেটিয়া প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, যেখানে সেক্যুলার প্রগতিশীল নারীসমাজের স্বার্থ ও মতাদর্শ রক্ষিত হলেও ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের ধর্মীয় চিন্তা ও বিবেচনা উপেক্ষিত হয়েছে। এই বৈষম্য মেনে নেয়ার সুযোগ নেই।

জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিলের পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবারজামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিলের পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার
উগ্র ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী কর্তৃক আমাদের “নারীবিদ্বেষী” অপবাদ দেওয়ার অপরাজনীতি বহু পুরোনো উল্লেখ করে বলা হয়, অথচ দেশজুড়ে আমাদের মহিলা কওমি মাদরাসাগুলোতে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্য হারে ছাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বরাদ্দমুক্ত এসব মাদরাসায় সমাজের হাজার হাজার প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেয়েদের জন্যও বিনামূল্যে থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তা ও ধর্মীয় শিক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ফলে এদেশের নারীদের স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে আমাদেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কখনো আলেম-ওলামার সামাজিক অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। আর আমাদের এই সামাজিক ভূমিকা ও ধর্মীয় অবস্থান আধুনিক ব্যবস্থায় এদেশের নারীকে “পণ্য” বানানোর পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের অন্তরায় বলেই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী আমাদের বিরুদ্ধে একদল উগ্র নারীবাদীকে লেলিয়ে দিয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু ধর্মীয় ইস্যুতে বাড়াবাড়ি আমরা মেনে নেবো না।

এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে নারীকে জনসভায় অবমাননার অভিযোগে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তিন নেত্রী ও তিন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

নোটিশদাতারা হলেন, এনসিপি নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী ও নীলা আফরোজ এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনের তিন নারী- উম্মে রায়হানা, উম্মে ফারহানা ও ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়া।

সূত্র: চ্যানেল ৭১

খবর বাংলা ২৪

নির্বাহী সম্পাদক, খবর বাংলা ২৪ ডট নেট

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours