
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের আপিলের পরবর্তী শুনানি বৃহস্পতিবার
ডেস্ক নিউজ:
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ আবেদনের ওপর প্রথম দিনের শুনানি শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিন রেখেছেন।
এদিন এটিএম আজহারুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির। তিনি শুনানিতে চারটি আইনি যুক্তিতে জামায়াত নেতার শাস্তি থেকে খালাস চান।
শুনানি শেষে আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় ৯০ শতাংশ শুনানি শেষ হয়েছে। আবার বৃহস্পতিবার শুনানি করবো।
তিনি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে জানান, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয় সংক্ষিপ্ত রায়ের ভিত্তিতে যা উপমহাদেশের বিচারিক ইতিহাসে ব্যতিক্রম। এছাড়া এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড আন্তর্জাতিক আইন মেনে হয়নি, রায়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মামলার প্রমাণ, সাক্ষ্য সবই ছিলো দুর্বল ও সাজানো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলসহ আরও অনেকে।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দেয় সর্বোচ্চ আদালত। একইসঙ্গে পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলা হয়।
মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এটিএম আজহারুল ইসলামের রিভিউ মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা এটাই প্রথম কোনো মামলা যে মামলায় রিভিউ থেকে মূল আপিল শুনানির অনুমতি দিলো আদালত।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুট ও আগুন দেওয়ার মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিলো এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে দুই নম্বর, তিন নম্বর ও চার নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পান আজহারুল ইসলাম। এছাড়া পাঁচ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ছয় নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
সূত্র: একাত্তর টেলিভিশন
+ There are no comments
Add yours