দেলোয়ার হোসাইন টিসু,উখিয়া:
অগ্নিকান্ডের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি এ আগুনে অনেক স্থানীয় পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদেরকেও সহযোগিতার আওতায় আনা হবে। যাতে তারাও দ্রুত ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারে। এমনটা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি।
২৪ মার্চ (বুধবার) বিকাল ২ টার দিকে উখিয়ার বালুখালী অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
পরিদর্শন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের মাঝে বস্ত্র সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এই সময় তিনি বলেন, যারা আগুনে ঘরবাড়ি হারিয়েছেন তাদের ভাসানচরে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তবে কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় ভাসানচরে যেতে চায় তাহলে তাদের সেখানে প্রেরণ করা হবে। এইসব কাটিয়ে উঠতে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন অগ্নিকাণ্ডের সাথে যদি রোহিঙ্গারা জড়িত থাকে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমেদ, উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২২ মার্চ (সোমবার) দুপুর ২ ঘটিকা নাগাদ বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৮-ওয়েস্টে অনাকাঙ্ক্ষিত এক অগ্নি দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়,তা পরবর্তীতে ক্যাম্প ৯, ক্যাম্প ১০, ক্যাম্প ১১ সহ মোট চারটি ক্যাম্পের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে নারী শিশুসহ ১৫ জন রোহিঙ্গা মৃত্যুবরণ করেছে। ৯ হাজার ৬০০টি মত ঘর পুড়েছে এত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় ঘর পুড়েছে প্রায় দুই শতাধিক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কি কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।
+ There are no comments
Add yours