এম হেলাল উদ্দিন নিরব, চট্টগ্রাম
নোবেল করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে আজ (সোমবার) থেকে সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে সারা দেশে। এর মাধ্যমে সরকার একগুচ্ছ বিধি নিষেধের বেড়াজালে সংক্রমণ বিস্তার রোধের চেষ্টা করছে।
অন্যদিকে পটিয়ার চিত্রটা ভিন্ন। স্বাভাবিক ভাবে যানবাহন চলাচলসহ সকল দোকানবাট খোলা রয়েছে। মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি। বাসস্ট্যান্ড,আনোয়ার রোড়,ডাক বাংলোর মোড়,থানার মোড়,শহীদ সবুর রোড, ক্লাব রোড, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন জায়গায় সচল আছে দোকানপাট।
অন্যদিকে পটিয়ার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে (পাঠাও) গাড়ির অবস্থান।দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া নিয়ে চলাচল করছে পাঠাও গাড়ি। অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার কারনে অনেক যাত্রী হতাশায় ভুকছে যাত্রীরা। বেশিরভাগ সময় থানার মোড়ে অবস্থান তাদের।
এদিকে করোনার বিরুপ পরিস্থিতির কারণে প্রায় এক বছর পর আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ দিতে হলো সরকারকে।
সাত দিনেই সংক্রমণ কমিয়ে আনতে নিয়মিত কার্যক্রমে ফেরার লক্ষ্যে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।
এদিকে গত বছর সংক্রমণ কমাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এমনকি কয়েক দফায় সেটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।
করোনা মহামারীতে গত বছর থেকে শুরু হয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সংক্রমণের হার কম থাকায় সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে ছন্দ ফিরতে শুরু করে। এমন সময় মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে।
করোনার এই অব্যাহত ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের ধারা সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত গত শনিবার লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার, যা আজ (সোমবার) সকাল থেকে শুরু হয়েছে।
গতকাল রোববার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সরকার এ সময়ে কী করা যাবে আর কী করা যাবে না তা সুষ্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়। প্রজ্ঞাপনে গণপরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে এরপর বিভিন্ন ঘোষণা আসতে থাকে।
+ There are no comments
Add yours