আজিজুল হক চৌধুরী:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে, এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে গেলেই চোখে পড়বে ভবনে অসংখ্য ফাটল। পলেস্তার খসে পড়েছে সিলিংয়ের। দরজা-জানালার ভেঙে পড়েছে। এরপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা প্রদান কার্যক্রম।
জানা যায়, অত্র এলাকার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পোপাদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবনটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। পরবর্তী সময় ২০০৪ সালে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে তা সংস্কার করা হয়। বর্তমানে ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
ভবনটিতে ৭টি কক্ষ থাকলেও ১টি কক্ষে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ কেন্দ্রে চিকিৎসকসহ ৬টি পদ রয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসকের পদে নিযুক্ত ডা. নাবিলা তাসনীম যোগদানের পর থেকেই প্রেষণে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া ১জন কমিউনিটি উপ-সহকারী মেডিক্যাল অফিসার ও ১জন আয়া দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। বাকি তিনটি পদ শূণ্য রয়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত কমিউনিটি উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার সঞ্জয় কুমার শিকদার।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না আসায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র ভবনের পাশাপাশি আবাসিক ভবনটিরও অবস্থা নাজুক। আবাসিক ভবনটিতে বর্ষা মৌসুমে ছাদ দিয়ে কক্ষে পানি প্রবেশ করে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা সেবা গ্রহীতা রওনক জাহান বলেন, আমরা গরীব মানুষ। ঘরের নিকটে এই হাসপাতালে চিকিৎসা পাই। কিন্তু সেবা নিতে এসে ভয়ে থাকতে হয় ভবনটির ফাটল দেখে। মনে হয় যেকোনো মূর্হুতে ভেঙে পড়বে বাতাসে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হোসেন আল মামুন বলেন, পোপাদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, বিষয়টি সর্ম্পকে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours