ইউনুস আলী | কুড়িগ্রাম
১২ বছর ধরে শিকলে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন সুলতানা (২৮)। সুলতানা কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সুভারকুটি গ্রামের মোক্তারের হাট এলাকার মৃত ছকমালের মেয়ে।
জানা যায়, ১০-১২ বছর আগে হঠাৎ মানসিক ভারসাম্য হারান সুলতানা। অর্থের অভাবে কবিরাজি চিকিৎসা করার কারণে আর সুস্থ হয়ে উঠেননি। তার অসুস্থ্যতার কারণে স্বামী মেহের জামাল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। উন্নত চিকিৎসা না করা, অযত্ন আর অবহেলায় ধীরে ধীরে আরও মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুলতানা।
অসুস্থ সুলতানার কাছে তার নাম জানতে চাইলে নিজের নাম সুলতানা, স্বামীর নাম মেহের ও মেয়ে লাবনী আকতারের নাম বলেন।
এলাকার স’মিল মালিক মো. বেলাল রহমান বলেন, উন্নত চিকিৎসার অভাবে মেয়েটির এই পরিণতি। যদি তার উন্নত চিকিৎসা করা যায় তাহলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। কারণ তার এ সমস্যা জন্মগত নয়। সুলতানার চিকিৎসার জন্য আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুলতানা সুযোগ পেলেই বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ জন্য তার পায়ে শিকল বাঁধা হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য সরকারি – বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসেনি।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন সুলতানার পরিবার যদি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়, সরকারিভাবে তার সব ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
+ There are no comments
Add yours