কিশোরগঞ্জে সূর্যমুখী ফুলের চাষে খুশি কৃষক

Estimated read time 1 min read
Ad1

জয়ন্ত রায়, কিশোরগঞ্জ:

 

নীলফামারী, কিশোরগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহায়তায় কৃষিপূর্ণবাসন প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষককে বিনামূল্য সার ও বীজ প্রদানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো উচ্চ ফলনশীল আরডি এস ২৭৫ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ হচ্ছে।

ইতোমধ্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে এ ফসল ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের ব্যাপক চাহিদা, সয়াবিন, সরিষার তেলের ঘাটতি পূরণে সূর্যমুখী চাষের গুরুত্ব অপরিসীম। এ লক্ষ্যে কৃষিবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী পদক্ষেপে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী ফুলের চাষ শুরু হয়েছে।

উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সূর্যমুখী চাষ। কম সময়ে স্বল্প খরচে অধিক লাভে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষকরা জানান- সরকারী পৃষ্টপোষকতা আরো বৃদ্ধি করে আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি করা হলে সূর্যমুখী চাষে মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠবে।

রনচন্ডী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কৃষক নাহিদ হাছান জানান- অন্য ফসলের তুলনায় খরচ কম, লাভ বেশি হওয়ার কারণে সূর্যমুখী চাষ করছি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দেব দুলাল মোহন্ত এর পরামর্শে চলতি বছর আমি চল্লিশ শতক (৪০’শ শতাংশ) জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করছি। খরচ হবে ৭/৮ হাজার টাকা। সেখানে কৃষি অফিস বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়েছে ফলে তার আনুমানিক খরচ হয়েছে ৩/৪ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে খরচ বাদে এক বিঘা (৩০ শতাংশ) জমিতে ১৮/২০ হাজার টাকা আয় করার আশা করছি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহতি উদ্যোগ সূর্যমুখী তেল ফসলের চাষ আবাদ বৃদ্ধি। এই সূর্যমুখী তেল ফসল চাষে বাংলাদেশ সরকার তেল আমদানি র্নিমাতা কমিয়ে দেশের মদ্ধে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষকে আর্থসামাজিক উন্নয়ন ভুমিকা রাখবে। ২০২০/২০২১ মৌসুমে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় প্রায়ই ৪৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী নামক তেল ফসলের চাষ হয়েছে। ৩৭০ জন কৃষক ৩৫০ বিঘা জমিতে প্রায় ৪৭ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী তেল ফসল চাষ করেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা আশা করছি এক দশমিক ছয় মেট্রিক টন পার হেক্টর গড়ে প্রায় ৭৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হবে। বাংলাদেশ সরকারের এই মহতি উদ্যোগে সূর্যমুখী চাষ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে , সূর্যমুখী চাষে রাসায়নিক সার বালাইনাষক এবং সেচের পরিমাণ কম লাগায় বোরো বা
ভুট্টা ফসলের তুলনায় মাটির সুরক্ষায় এবং ভবিষ্যতে কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে সূর্যমুখী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিক পালন করবে।

সূর্যমুখী চাষের মাধ্যমে কৃষক যেমন অল্প সময়ে এক‌টি উচ্চ মুল্যে ফসল ঘরে তুলতে পারছে তেমনি মাটি ও পরিবেশের সুরক্ষায় ভুমিকা রাখতে পারছে। ভবিষ্যতে সূর্যমুখী মাড়াই এবং তেল প্রক্রিয়া জাত করণে অল্প পরিসরে স্থানীয়ভাবে প্রক্রিয়া জাত কেন্দ্র স্থাপিত হলে কৃষকের মাঝে সূর্যমুখী চাষের আগ্রহ উদ্দিপনা বৃদ্ধি পাবে দেশে তেল ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিপাবে।
বাংলাদেশ সরকারের মহতি উদ্যোগ সফলতার মুখ দেখবে বলে আশা করছি।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours