কাল সাউদাম্পটন টেস্টে ইংল্যান্ডকে তাদের প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানে অলআউট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয় অলরাউন্ডার জেসন হোল্ডার একাই নিয়েছেন ৪২ রানে ৬ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তাঁর সেরা বোলিং ফিগার। হোল্ডারের আগের সেরা বোলিং ছিল ২০১৮ সালে, বাংলাদেশের বিপক্ষে জ্যামাইকায় ৫৯ রানে ৬ উইকেট।
মেঘলা কন্ডিশনের সাউদাম্পটনে ব্যক্তিগত অর্জনে দ্যুতি ছড়ানো হোল্ডার নাম লিখিয়েছেন বেশ কিছু নজিরে। গত ২০ বছরের টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়কদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগারের ছোট্ট তালিকার চারে উঠে এসেছেন হোল্ডার। রঙ্গনা হেরাথ, শন পোলক, সাকিব আল হাসানের পর এখন হোল্ডারের স্থান। শীর্ষ পাঁচে আছেন আফগানিস্তানের লেগি রশিদ খানও।
২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক ছিলেন টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বাঁ হাতি স্পিনার হেরাথ। তাঁর ৬৩ রানে ৮ উইকেট নেওয়ার গত ২০ বছরে অধিনায়কদের মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার। ২০০১ সালে কেপটাউনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তখনকার প্রোটিয়া অধিনায়ক পোলক।
২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সাকিবের ৩৩ রানে ৬ উইকেট টেস্টে এক ইনিংসে অধিনায়কদের সেরা বোলিং ফিগারে তৃতীয় সেরা। হোল্ডারের ৪২ রানে ৬ উইকেটের পর গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০১৯ সালের চট্টগ্রাম টেস্টে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান নেন ৪৯ রানে ৬ উইকেট।
অধিনায়কদের আরেক রেকর্ডে সাকিবের পাশে জায়গা করে নিয়েছেন ২৮ বছর বয়সী এ অলরাউন্ডার। ২০১০ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ১২১ রানে ৫ উইকেট নেন তখনকার অধিনায়ক সাকিব। গত ১০ বছরে অধিনায়কদের মধ্যে সাকিব ও হোল্ডার ছাড়া ইংল্যান্ডে আর কেউ ৫ উইকেট পাননি।
রেকর্ডের পাতায় জায়গায় করে নেওয়া স্পেল নিয়ে কাল হোল্ডার বলছিলেন, ‘আমি আজকের স্পেলটা খুব উপভোগ করেছি। অনেকদিন পর খেলেছি। চিন্তায় ছিলাম সব ঠিকঠাক হয় কিনা। কিন্তু মনে হলো অনেকদিন পর খেলার কারণে আমি চাঙ্গা ছিলাম। কন্ডিশন, উইকেট- সব আমার জন্য উপভোগ্য ছিল।’
+ There are no comments
Add yours