ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
মোক (আমাকে) কাইও (কেউ) এ্যাখান (একটা) হুইল চেয়ার দিবেন বাহে? বাশলি (প্যারালাইসিস) হয়া (হয়ে) আড়াই বছর থাকি (থেকে) বিছনাত (বিছানায়) পড়ি (পড়ে)।ঘর-বাহির হবার পাং না (পাই না)। যেটে (যেখানে) বসে থোয় (রাখে) স্যাটে (সেখানে) সারাদিন বসি (বসে) থাকোং (থাকি)। এ্যাখান (একটা) হুইল চেয়ার হইলে (হলে) বাকি কয়টা দিন ঘর-বাহির হয়া (হয়ে) আলো-বাতাস খাবার পানুং (পেলাম) হয়।কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবেই কথাগুলো বললেন, প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত ফুলবাড়ী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা কদমতলা গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের ছেলে কাশেম আলী (৭৬)।
আড়াই বছর আগে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে তার দুটি পাঁ অচল হয়ে যায়। সেই থেকে বিছানায় পড়ে আছেন তিনি। গরীব অসহায় পরিবার একটি হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্য না থাকায় গত আড়াই বছর ধরে সুস্থ বৃদ্ধকে ধরাধরি করে ঘর থেকে বাইরে বের করে চেয়ারে বসায়ে দিলে সেখানেই তার সারাদিন কেটে যায়। অসুস্থ বৃদ্ধের চলাফেরার জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানান কাশেম আলী ও তার পরিবার।
কাশেম আলীর ছেলে চা বিক্রেতা তাজুল ইসলাম জানান, কোন রকমেই রাস্তার মোড়ে চা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে কোন রকমে আট সদস্যের পরিবারের খরচ চলে। তার উপর বাবার চিকিৎসা ও ঔষধপত্র। হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ আমাদের নাই। তাই সমাজের কোন দানশীল বিত্তবান, মহৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমার বাবাকে একটি হুইল চেয়ার দান করতো তাহলে সারাজীবনের জন্য চিরকৃতজ্ঞ থাকতাম।
+ There are no comments
Add yours