সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত: ৩০ জুনের মধ্যে সরছে খালের বাঁধ,পলিথিন বন্ধে শুরু হবে অভিযান

Estimated read time 1 min read
Ad1

খবর বাংলা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত নাগরিক দুর্ভোগ কমানোর লক্ষ্যে খালে থাকা সকল বাঁধ ৩০ জুনের মধ্যে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সিটি কর্পোরেশনের টাইগার পাসস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চসিক প্রধান কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হোসেন খান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কর্মকর্তা এস.এম মোস্তাইন হোসেন, চউক জলাবদ্ধতা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর পঙ্কজ মল্লিক, সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, নগরীতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া মেগা প্রকল্পের কাজ ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসী মুক্তি পাবে। কোন কোন খালে অস্থায়ী বাঁধ রয়েছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তা সরাচ্ছে। মেয়র নগরীর জলবদ্ধতার জন্য কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিং না হওয়া, নদী খালে পলিথিন ফেলাকে দায়ী করেন। তিনি পলিথিন উৎপাদন বন্ধে চসিকের উদ্যোগে অভিযান শুরুরও ঘোষণা দেন।

মেয়র আর.এস ও সি.এস শীট অনুযায়ী নতুন খাল খননের পাশাপাশি বিলীন এবং দখল হওয়া খাল পুনঃরুদ্ধারে উদ্যোগ নেয়ার পক্ষে মত দেন। তিনি চলমান মেগা প্রকল্পের কর্মকর্তাদের স্থানীয় কাউন্সিলরগণদের মতামত ও তাদের সাথে সমন্বয়ের কাজ পরিচালনা করতে বলেন।

হোল্ডিং ট্যাক্স ও লাইসেন্স ফি বাবদ ১৩ লাখ টাকা আদায়

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আজ রাজস্ব সার্কেল ৩, ৫ ও ৭ এর আওতাধীন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। কর্পোরেশনের বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স আদায়ের লক্ষ্যে রাজস্ব সার্কেল-৩ এর আওতাধীন পশ্চিম বাকলিয়ায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৩ লাখ ২৯ হাজার ৬শত ৪৮টাকা, সার্কেল-৫ এর আওতাধীন রহমতগঞ্জ এলাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৪৪ টাকা ও ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫শত ৯০ টাকা, সার্কেল-৭ এর আওতাধীন আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ১ লাখ ৭১ হাজার ৭ শত ৩৮ টাকা ও বকেয়া ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ৯৪ হাজার ৪ শত ৫০ টাকাসহ মোট হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৪ শত ৩০ টাকা এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪০ টাকা আদায় করা হয়। এছাড়াও অভিযানে ট্রেড লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায় পরিচালনার দায়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু পূর্বক ৪ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেসাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক ভাবে এই আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সহায়তা করেন সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। সিটি কর্পোরেশনের বকেয়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স ফি আদায়কল্পে এ অভিযান চলমান থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours