ফুলবাড়ীতে ঘরে ঘরে জ্বরের প্রাদুর্ভাব, করোনা নিয়ে নতুন আশঙ্কা

Estimated read time 1 min read
Ad1

কুড়িগ্রাম (ফুলবাড়ী)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বেড়েছে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব। ঘরে ঘরে আক্রান্ত হচ্ছে প্রায় সবাই। তবে এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। আশংকাজনক হারে বেড়েছে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতি পরিবারে কেউ না কেউ সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথায় ভুগছেন।

উপজেলার ফার্মেসিগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েক দিনে সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যাথার পর্যাপ্ত ওষুধ বিক্রি হয়েছে স্বাভাবিকের চাইতে কয়েকগুন বেশি। সরবরাহের কমতি থাকায় এসব রোগের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার বেড়ে । পুরো উপজেলায় হঠাৎ করে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে স্থানীয় প্রসাশন। করোনার নমুনা দিতে মানুষের অনীহা থাকায় উপজেলায় করোনা রোগীর প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে পারছেনা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

উপজেলায় হঠাৎ করে করোনা প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় অবাধ চলাচলকে দায়ী করছেন অনেকে।

সীমান্তঘেঁষা বালারহাট বাজারের পল্লী চিকিৎসক ইয়াকুব আলী জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে জ্বর, ডায়রিয়া দেখা দেওয়ায় ওষুধের চাহিদা বেড়েছে অনেক। এছাড়াও করোনার ভয়ে অনেকেই তাদের অসুস্থতার বিষয়টি গোপন রাখছে। ঘরে ঘরে জ্বরের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হলেও করোনার পরীক্ষা না হওয়ায় আমরা বুঝতে পারছিনা তারা সাধারণ জ্বরের রোগী না কি করোনায় আক্রান্ত। গত এক সপ্তাহে আড়াই থেকে ৩’শ রোগীর চিকিৎসা দিয়েছি। আমাদের মধ্যে আতঙ্ক বেশি কাজ করছে।

একই বাজারের পল্লী চিকিৎসক গোলাম মোরর্শেদ জানান, বর্তমানে প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দিসহ শ্বাসকষ্টের রোগী আছে। গত চার দিনে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের প্রায় ২’শ জন জ্বরের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনই ফার্মেসিতে এসব রোগীর আসছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে। এতে করে আমরাও করোনার আতঙ্কে আছি। সীমান্ত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ সংকট রয়েছে বলে জানান তিনি।

এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, সীমান্ত এলাকাগুলোতে জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছুটা উদ্বিগ্ন হওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। তবে তিনি সিজোনাল কারণে টাইফয়েডের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান।

কোভিড-১৯ কে চিহ্নিত করতে রেপিটেনজিন কিটের মাধ্যমে দ্রুত পরীক্ষার জন্য প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours