নূরুল আবছার নূরীঃ ফটিকছড়ি উপজেলার কাঞ্চননগরে যুবক আলমগীর হত্যার রহস্য উন্মোচন হয়েছে। আপন ছোট ভাই রাশেল ঘটনার দিন রাতে বড়ভাই আলমগীরকে কুড়াল কুপিয়ে হত্যা করে। পরে নাটক সাজাতে উদ্ধারকারী অন্যান্যদের সাথে হাসপাতালেও যায় ঘাতক রাশেল। ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে আলমগীরের পিতা বাহাদুর সর্দার, স্ত্রী সজিনা, ছোট ভাই রাশেল ও ভগ্নিপতি শাহ আলমকে আটক করে পুলিশ।
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্যদের ছেড়ে দিলেও সন্দেহঘুণিভুত হওয়ায় ছোট ভাই রাসেলকে নজরে রাখেন পুলিশ।
১৬ জুন রাতে রাসেলকে পুনারায় থানায় এনে পুলিশ কৌশল পাল্টিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এক পর্যায়ে রাশেল আপন বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করে।
পরে, ১৭ জুন বৃহস্পতিবার সকালে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধি গ্রহণের জন্য ঘাতক রাসেলকে
চট্টগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়।
ফটিকছড়িতে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন হওয়ার বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
এব্যাপারে ফটিকছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রবিউল ইসলাম খবর বাংলা কে বলেন, শেষ পর্যন্ত ভাইকে হত্যার কথা স্বীকার করায় জবানবন্দই গ্রহণের জন্য ছোটভাই রাশেলকে আদলাতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, ৬জুন সোমবার রাত ৯টার দিকে কাঞ্চননগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ঝরঝরি এলাকার বাহাদুর সর্দারের বাড়িতে আলমগীর (৩৫) নামে এক যুবককে মারাত্তকভাবে খুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। পরে সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে নিহতের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
+ There are no comments
Add yours