ইউনুস আলী,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই ছাত্রী চার মাসের অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শনিবার (১৯ জুন) রাতে থানায় মামলা করলে পুলিশ রুবেল ইসলাম বকুল (২৬) নামে একজনকে আটক করেন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুল ছাত্রী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশুনা করেন। গত ০৭ ফেব্র“য়ারী দুপুরে ওই ছাত্রী বাড়ি থেকে পাশ্ববর্তী একটি মুদির দোকানে সাবান আনতে যান। এ সময় পথিমধ্যে প্রতিবেশি মোজাম্মেল হকের বাড়ির কাছে পৌছিলে তার পুত্র রুবেল ইসলাম বকুল বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে হাতে গ্লাস ধরিয়ে দিয়ে টিওবওয়েল হতে পানি আনতে বলে ফাঁকা ঘরে বসে থাকেন। সরল বিশ্বাসে স্কুল ছাত্রী পানির গ্লাস তাকে দেয়ার সময় বকুল তাকে কু-প্রস্তাব দেন। এতে ছাত্রী রাজি না হলে বকুল তাকে মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষনের ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। রুবেল ইসলাম বকুল বিবাহিত এবং সম্পর্কে ওই স্কুল ছাত্রীর প্রতিবেশি ভাই।
পরবর্তীতে রুবেল ইসলাম বকুল ওই ছাত্রীকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। লোকলজ্জার ভয়ে ধর্ষনের বিষয়টি স্কুল ছাত্রী গোপন রাখে। বর্তমানে ওই ছাত্রীর চলাফেরা ও শারীরিক গঠন অস্বাভাবিক হলে তার মা ও বাবা তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে ধর্ষনের ঘটনা খুলে বলে। পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে ওই ছাত্রীকে নিয়ে গেলে তিনি শারীরিক পরীক্ষা করে চার মাসের অন্তসত্ত্বা বলে জানান। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা শনিবার (১৯ জুন) রাতে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে রুবেল ইসলাম বকুলকে আসামী করে থানায় মামলা করলে পুলিশ তাকে আটক করেন।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির জানান, ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে রোববার (২০ জুন) আদালতে প্রেরণ করেন। ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours