ভোলায় পানিবন্ধি ২০হাজার মানুষ

Estimated read time 0 min read
Ad1

নিজস্ব প্রতিবেদক : মেঘনায় অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ভোলার বেশ কয়েকটি জায়গা প্লাবিত হয়েছে। এতে ২০ হাজার অধিবাসী পানিবন্দী রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে জানা যায়, মেঘনার জোয়ারে পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তীব্র স্রাতে সকাল থেকে ভোলার উপকূল জুড়ে থেমে থেমে বাতাস ও ঝড়ো বৃষ্টি অব্যাহত আছে।

এদিকে গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জোয়ারে পানিতে ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা,রাজাপুর,ধনিয়া,
তুলাতুলি বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়।

মেঘনার উত্তাপ ঢেউয়ে আছড়ে পড়ে ইলিশা ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট,দোকানপাটসহ জোয়ারে ভেসে যায়।এতে পানিতে তলিয়ে যায় ওই এলাকা।

মেঘনার তীব্র জোয়ারে তলিয়ে গেছে ভোলার শহর রক্ষা বাঁধ।ধনিয়া তুলাতুলির বেশ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। শুরু হয় ভয়াবহ ভাঙন।

এদিকে মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভোলার তিন উপজেলার চরাঞ্চল ও বেড়ি বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছে শতাদিক পরিবার।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে পানি লোকালয় প্রবেশ করেছে।

অন্যদিকে মনপুরা উপজেলায় হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট, সোনারচর ও দৌলতখান উপজেলার মধ্য মেঘনার বুকের ইউনিয়ন মদনপুরে প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে করে ভোলা জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে।

ভোলার বাসিন্দা ইউনুস মিয়া জানান, বুধবার দুপুরের পর থেকে ভোলার মেঘনার পানির চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে বিকেলের দিকে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নাছির মাঝি, তুলাতুলি, কালিকীর্ত্তি, ইলিশা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিকান্দি, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাজিকান্দি, রাজাপুর জোড়খাল এলাকা দিয়ে অতি জোয়ারের পানি বেড়ি বাঁধের ওপর দিয়ে উপচে পড়ে।
ভোলা শহর রক্ষা বাঁধসহ ভোলাবাসী চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours