ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেছিলেন শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ইংল্যান্ড টপঅর্ডার একাই তছনছ করে দিয়েছেন ক্যারিবীয় ফাস্টবোলার। ৫১ রানে ৩ উইকেট হারানো ইংলিশরা যেন আর উঠে দাঁড়াতে না পারেন, পরে সে কাজটা সুনিপুণভাবে করেছেন জ্যাসন হোল্ডার। চা বিরতির আগেই ধুঁকতে থাকা ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ‘হোল্ড’ করে দিয়েছেন হোল্ডার। সাউদাম্পটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট ২০৪ রানে।
সাউদাম্পটন টেস্টের বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম দিনে যে ১৭.৪ ওভার খেলা হয়েছিল, তখনই নড়বড়ে দেখা গেছে ইংলিশ ব্যাটিং লাইনআপ। আজ বৃষ্টি বাধা না দিলেও মেঘাচ্ছন্ন রোজবোলে ইংল্যান্ডকে একেবারেই আরম করে এগোতে দেননি ক্যারিবীয় দুই ফাস্ট বোলার। প্রায় সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার হোল্ডারের বোলিং রিলিজ পয়েন্টটা গত দুই বছরে যেকোনো পেসাররের চেয়ে বেশি। তিনি ধারাবাহিক বাড়তি বাউন্স পান ঠিক এ কারণেই। তাঁর বল স্বচ্ছন্দে ড্রাইভ করা খুবই কঠিন এক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটসম্যানদের জন্য। সেটির ফল হিসেবে গত দুই বছরে টেস্টে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং রেকর্ড তাঁরই। নিজের সর্বশেষ ১০ টেস্টে একটি উইকেট পেতে তাঁর খরচ করতে হয়েছে মাত্র ১৪ রান। সাউদাম্পটনেও ব্যতিক্রম হয়নি।
নিয়মিত অধিনায়ক জো রুট বিহীন ইংল্যান্ডের নড়বড়ে টপ অর্ডারে আগেরদিনই আঘাত হানেন গ্যাব্রিয়েল। বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া প্রথম দিন ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য অস্বস্তিকর কোন আর গতিতে ওপেনার ডম সিবলির উইকেট উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আজ একইভাবে বোল্ড করেন জো ডেনলিকে। আরেক ওপেনার ররি বার্নস আশা জাগালেও আউট হন রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা গ্যাব্রিয়েলের গোলা সামলাতে না পেরে।
গেব্রিয়েল তান্ডব শেষ হতে না হতেই দৃশ্যপটে আসেন হোল্ডার । সাউদাম্পটনের আকাশে ভেসে ভেড়াচ্ছে মেঘ। হাতে ডিউক বল, কী করতে হবে তাঁর জানাই ছিল। নিজের উচ্চতার দারুণ ব্যবহার আর গতি ৮০ মাইলের আশেপাশে রেখে ঠিক রেখেছেন লাইন-লেংথ। চোখের পলকে ৪২ রানে নিয়ে নিলেন ৬ উইকেট, যেটি হোল্ডারের টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং। বাকি ৪ উইকেট
+ There are no comments
Add yours