মোঃ জয়নাল আবেদীন সীতাকুণ্ড:
করোনা সংক্রমণের হার বেড়েই চলেছে।দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ও বেড়েছে করোনা প্রকোপ।করোনা পরিস্থিতি বেগতিক তাই দিন দিন করোনা ভাইরাস এর ভয়াল থাবায় প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর হার।
দেশের এই কঠিন মূহুর্তে সীতাকুণ্ডের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ। সাধারণ মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি মুমূর্ষু রোগীর বিপদে প্রতিনিয়ত বন্ধুর পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।
কারো ত্রাণ সামগ্রী প্রয়োজন সেখানে ছাত্রলীগ নেতা জিলানী।কারো জরুরি অক্সিজেন দরকার সেই কঠিন মূহুর্তেও ছাত্রলীগ নেতা জিলানী ছুটে যান।নিজের জিবনের মায়া ত্যাগ করে তিনি এই কঠোর লক ডাউনের মধ্যে ছুটে চলেন এবং মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। সাধারণ মানুষের কল্যাণে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
করোনা ভাইরাস এর শুরু থেকেই একের পর এক জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে তিনি ব্যস্ত রেখেছেন।শুধু করোনা ভাইরাস নয় অন্যান্য সময়েও অসহায়,গরীব,দুঃস্থদের ও সুবিধা বঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে তিনি দাঁড়ান।
তার উজ্জ্বল মানবিক দৃষ্টান্ত সীতাকুণ্ডের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের কাছে আজিবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।মায়ের জরুরি অক্সিজেন প্রয়োজন।কোন ভাবেই অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারছিলেন না এক যুবক।
এদিকে ওই যুবকের মায়ের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে ।মায়ের এমন কঠিন মূহুর্তে কোন উপায় না পেয়ে ওই যুবক ফেসবুকে মেসেজ দেন সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রিয়াদ জিলানীকে।তিনিও একজন মায়ের এমন পরিস্থিতির কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দেন।
যুবকের মা’কে হাসপাতালে ভর্তি করাতে বললেন এবং তিনি অক্সিজেন ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দেন।মধ্য রাতে রাতে প্রচুর বৃষ্টি পড়ছিল তখন ঠিক সেইসময় অক্সিজেন ব্যবস্থা করেন তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা এস এম রিয়াদ জিলানী বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস যখন বাংলাদেশে আঘাত হানে।তখন থেকেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ন্যায় সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগ দাফন কাফন থেকে শুরু করে খাদ্য সহায়তা এবং জরুরি এম্বুলেন্স সেবা দিয়ে আসছে।
তৃণমূল ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে ছাত্রলীগের সকল ইউনিট কেউ মাস্ক বিতরণ করছে,কেউ অক্সিজেন সেবা দিচ্ছে,আর কেউ খাদ্য সহায়তা করে গিয়েছেন এবং করোনা ভাইরাস এর দ্বিতীয় ডেউয়ে তা বিদ্যমান রয়েছে।তিনি বলেন, প্রাণঘাতী ভাইরাস যতদিন থাকবে ততদিন সীতাকুণ্ড উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
+ There are no comments
Add yours