চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক মিডিয়া সংগঠনগুলোর সর্ববৃহৎ মোর্চা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মিডিয়া ঐক্য জোট চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লায়ন শফিক সোহাগ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রেল মন্ত্রণালয় যদি অবিলম্বে সিআরবিতে হাসপাতালের সিদ্ধান্ত বাতিল না করে তাহলে সিআরবি’র শিরিষ তলা সহ আশপাশের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম অংশটুকু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে একদফা আন্দোলনে নামবেন ।
প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম অংশটুকু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে একদফা আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি
তিনি বলেন, সিআরবি’র শিরিষ তলা সহ আশপাশের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম অংশটুকু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত করা গেলে আমরা সারা বছর নিশ্চিন্ত ভাবে এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে পারবো এবং মনোমুগ্ধকর পরিবেশে বছরে দুইটি বইমেলার আয়োজন করতে পারবো ।
শফিক সোহাগ বলেন, সিআরবি রক্ষার জন্য আমাদের সিনিয়র সাংস্কৃতিক সংগঠকগণ এখনো বড় কোনো আন্দোলনের নির্দেশনা দেননি, তাই আমরা মধ্যম সারির সংগঠকরাও জুনিয়রদের কোনো নির্দেশনা দিতে পারিনি । প্রত্যেকেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে ব্যক্তিগত ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন । এতেই চট্টগ্রামের পরিবেশ কিরূপ ধারণ করেছে ! যদি সাংস্কৃতিক কর্মী, সাহিত্য, সামাজিক কর্মীরা সংঘবদ্ধ ভাবে আন্দোলনে নেমে পরেন তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে কিনা তা ভেবে দেখুন ।
“গাছ এবং ভূমির অবয়ব ঠিক রেখেই হাসপাতাল হবে” এই যুক্তি দিয়ে কর্তৃপক্ষ বারবার শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন । তাদের কি অতটুকু বোধশক্তি নেই যে হাসপাতালকে কেন্দ্র করে আশপাশের পরিবেশ ভবিষ্যতে কি রূপ ধারণ করবে ? চারপাশে মেডিকেল বর্জ্য- রোগ জীবাণু, সারি সারি এ্যাম্বুলেন্স, কিছুক্ষণ পরপর এ্যাম্বুলেন্সের শব্দ, শত শত রোগীর স্বজনদের আর্তনাদ, মানুষের উপরে মানুষের গিজগিজ, সারি সারি ফার্মেসী ও হরেক রকমের দোকানপাট । সব মিলিয়ে পরিবেশটা কেমন হবে ?
চট্টগ্রামের সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট নাগরিকগণ সকলেই এখানে হাসপাতাল গড়ার বিপক্ষে মতামত দিয়েছে । তারপরেও যদি কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল না করেন তাহলে একদফা আন্দোলনের বিকল্প নেই । প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
+ There are no comments
Add yours