ফটিকছড়ির কোরবানির পশুরহাট: ইজারাকৃত বাজারের চেয়ে মৌসুমি হাটে ঝোঁক

Estimated read time 1 min read
Ad1

নূরুল আবছার নূরী >> ফটিকছড়ি:

পবিত্র ঈদুল আযহার আর মাত্র ৪ দিন বাকি থাকলেও ফটিকছড়িতে কুরবানির পশুরহাট করোনার কারণে এবার তেমন জমে উঠেনি। বাজারে বিক্রেতারা পর্যাপ্ত পশু নিয়ে হাজির হলেও ক্রয়ে এখনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না ক্রেতারা। তবে পশু বিকিকিনিতে ইজারাকৃত বাজারের চেয়ে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত মৌসুমিহাট গুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষ।

এক্ষেত্রে বড় বাজারের ঝক্কি-ঝামেলা, বেশী মানুষের জটলা, দূরত্ব সহ একেকজন একেক বিষয়কে অগ্রাধিকার দিলেও অতিরিক্ত হাসিলের বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে।

জানা গেছে, বিবিরহাট, নাজিরহাট সহ ইজারাকৃত বেশীর ভাগ বাজারে হাসিল নেয়া হয় প্রতি গরুতে এক হাজার টাকা করে। তবে ইজারাকৃত ছোট বাজারগুলোতে হাসিল হাজারের নিচে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে একাধিক ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, যাতায়াত, বড় বাজারের ঝক্কি-ঝামেলা, অতিরিক্ত হাসিলের কারণে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে আমরা স্থানীয় পশুর হাটগুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছি। তারা আরো বলেন, এক সময় মানুষ বড়হাট গুলো থেকে পশু কিনে কুরবানি দিলেও ক্রেতা-বিক্রেতা একই এলাকার হওয়ার কারণে স্থানীয় মৌসুমি হাটগুলোতে পশু ক্রয়-বিক্রয়ে প্রশান্তি-আনন্দ দুটোই উপভোগ করছে মানুষ।

এ বিষয়ে বিবিরহাট বাজারের এক ইজারাদারের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ কথা সত্য যে মানুষ এখন বড় বাজারের পরিবর্তে ছোট বাজারগুলোর দিকে ঝুঁকেছে। বাস্তবতা এটা যে, সরকার থেকে যে টাকা দিয়ে আমরা ইজারা নিয়েছি তা যদি এ সময়ে তুলতে না পারি তাহলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে। এ কারণে ইজারাকৃত বাজারে হাসিল একটু বেশী।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours