পাইন্দংয়ে টিলা কাটছে ৬ জনের সিন্ডিকেট

Estimated read time 1 min read
Ad1

নুরুলআবছার নূরী >> ফটিকছড়ি

চট্টগ্রামঃ ফটিকছড়ি উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়নে ৬ জনের সিন্ডিকেটে চলছে টিলা কাটার মহোৎসব। মাটি বাণিজ্যের এ সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় এক শ্রমিক লীগ নেতা। সিন্ডিকেটটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে টিলা ও ফসলি জমির মাটি কেটে দেদারছে বিক্রি করে যাচ্ছে। এ সিন্ডিকেটের নেপথ্যে রয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপির কতিপয় স্থানীয় নেতা। কোনো রকম নিয়ননীতির তোয়াক্কা না করে টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি। স্থানীয় জনপ্রিতিনিধিকে ম্যানেজ করে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে এলাকায় কথিত আছে। অন্যদিকে, নির্বিচারে টিলা কেটে সাবাড় করা সত্ত্বেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

খবর নিয়ে জানা গেছে, ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি সরোয়ারের নেতৃত্বে পাইন্দং এলাকায় গড়ে উঠেছে মাটি বাণিজ্যের সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন, আলমগীর, দিদার সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ-বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী। চক্রটির কাছে এলাকার ভূমি মালিকরা এক প্রকার জিম্মি। মাটি বিক্রিতে বাধ্য করার পাশাপাশি সিন্ডিকেটের বাইরে অন্য কারো কাছে বিক্রি করলে গাড়ি প্রতি কমিশন দিতে হয় তাদের। কমিশন না দিলে মাটি বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করে থাকে চক্রের সদস্যরা। মাটি কাটতে এ চক্রের রয়েছে দুইটি স্কেভেটর ও একাধিক ড্রাম ট্রাক। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে রাতের বেলায় শুরু করে ভোর বেলা পর্যন্ত চলে টিলা ও ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব। স্থানীয় বেশ কয়েকটি ব্রিকফিল্ড ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন স্থাপনার ভিটি ভরাটে চড়া দামে মাটি সরবরাহ করে থাকে চক্রটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে চেয়ারম্যানের খামার বাড়ি সংলগ্ন টিলা থেকে স্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। সেখান থেকে টিলার লাল মাটিগুলো চার-পাঁচটি ড্রাম ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে স্থানীয় বকসুর ঘাটা এলাকায় মুনছুর নামে এক ব্যক্তির ভিটি ভরাটের কাজে। জানা গেছে, ফসলি জমির চাইতে টিলার মাটির কদর বেশী হওয়ায় বছরজুড়ে টিলা কেটে মাটি বিক্রির রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে আসছে মাটিখেকো এ সিন্ডিকেট।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শ্রমিক লীগ নেতা সরোয়ারের বক্তব্য জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের কথা অস্বীকার করে বলেন, আগে এ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে সম্পৃক্ত নই।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ বলেন, পাহাড়, টিলা ও ফসলি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে আমরা সবসময় সোচ্চার। এর সাথে যারা জড়িত থাকবে, খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours