সুলতান মাহমুদ সালাহউদ্দিন | স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
সাবেক অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ খান হত্যা মামলার মূল হোতা টেকনাফ মডেল থানার সদ্য বরখাস্তকৃত সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে নিয়ে বড় বেকায়দায় জেলকর্তৃপক্ষ।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী অভিযুক্ত সব পুলিশ সদস্যদের জেলহাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই হিসাবে তাদেরকে অন্যান্য সাধারণ কয়েদিদের সাথে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে সাধারন আসামিদের অনেকে তীব্র আপত্তি শুরু করে ও প্রদীপের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। কারণ ইয়াবা ও মাদক মামলার অধিকাংশ আসামিরা টেকনাফের। তাদের মধ্যে অনেকে একদম নিরীহ ও কোনো না কোনভাবে প্রদীপ কুমারের মিথ্যা ষড়যন্ত্রের শিকার হয় বলে গোপন সূত্রে জানা যায়।
প্রাপ্ত তথ্য মতে প্রদীপ কুমার ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে এসআই হিসেবে যোগ দিয়ে বিভিন্ন সরকারের সময়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাণ্ডব চালিয়েছেন। চাকরি জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় কাটিয়েছেন। সেই সুবাদে তার অধঃস্তন পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলে।
টেকনাফের সাবেক এই ওসির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, ইয়াবা ও মাদকের নামে মিথ্যা মামলা, ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের আটকে রেখে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে। সূত্রে জানা যায় বিগত ২ বছরে ‘ক্রসফায়ারে’ মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২৮৭ জন। এরমধ্যে ১৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে টেকনাফ উপজেলাতে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নামে বেনামে অনেক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি ও গাড়ি রয়েছে। এমনকি ভারতের আসামের রাজধানী গৌহাটির পল্টন স্টেশনের পাশে দুইটি বিলাসবহুল বাড়ি আছে বলেও জানা যায়।
+ There are no comments
Add yours