আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:::
করোনা প্রতিরোধে আবারও আরোপ করা হয়েছে বিধিনিষেধ। ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ চলমান থাকবে। সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৩টি শর্ত যুক্ত করে এবারের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।
এতো কিছুর পরেও সাধারন মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবনতা যেমন নেই তেমন নেই মাক্স পরার আগ্রহ। মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকলেও নানা অজুহাতে কারনে অকারনে রাস্থায় বেড়িয়ে আসছে তারা।
ঝালকাঠির রাজাপুরে রবিবার (২৫ জুলাই) তৃতীয় দিন সকাল থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে ২৩ নির্দেশনার সব ছিল উপেক্ষিত। উপজেলার কোথাও কোথাও অল্প সময়ের জন্য প্রশাসনিক তৎপরতা চোখে পরলেও উপজেলার অনেক প্রান্তেই দেখা মেলেনি প্রশাসনের লকডাউন বাস্তবায়নের কার্যত্রুম। নেই কোনও চেক পোষ্ট।
লকডাউন কার্যকর করতে বাশঁ বেঁধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হলেও ঠেকানো যাচ্ছে না মানুষের চলাচল।মাছ, মাংস, ফল, সবজি, মুদিখানা সব দোকানেই ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়ছে ভিড়। পাশাপাশি সাধারন মানুষ ঠিকমতো মাস্ক ব্যবহার করছেন না।
উপজেলায় করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়লেও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অধিকাংশ মানুষ। কঠোর বিধি নিষেধে প্রথম দিন থেকে তৃতীয় দিনে অনেকটা গা ছাড়াভাবে চলছেন তারা।
উপজেলা একমাত্র হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বাইরে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় স্বল্প জনবল নিয়ে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।
সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা যেনো মানছেইনা এই কঠোর বিধিনিষেধ। সচেতন মহল বলছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করা জরুরি। সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে শহরের পাশাপাশি গ্রামের হাট বাজারে বিধিনিষেধ কার্যকর করা জরুরি।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজাপুর থেকে সারা দেশের সঙ্গে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও আঞ্চলিক সড়ক এমনকি শহরের উপর দিয়ে চলছে মাহেন্দ্র, সিএনজি অটোরিকশা, মটর সাইকেল সহ ব্যাটারি চালিত যানবাহন। সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অফিস বন্ধ থাকলেও অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। সড়কেও মানুষের চলাচল স্বাভাবিক।
উপজেলার বিভিন্ন সড়কে শুধু যাত্রীবাহী বাস ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল করেছে যথারীতি। উপজেলা সদরের বাঘড়ী বাজারে লোকসমাগম ছিল তুলানামূলক ভাবে অনেক বেশি।
প্রায় একই চিত্র জেলার ঝালকাঠি সদর, কাঠালিয়া ও নলছিটিতেও। প্রশাসন কঠোর অবন্থানে থাকলেও লোকচুরির সাথে পেরে উঠছেননা তাঁরা। প্রতিদিনই মোবাইল কোর্টে মামলা-জরিমানা করাহলেও তেমন সুফল আসছেনা।
+ There are no comments
Add yours