ফাইতং টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ধ্বসে বাড়ি হুমকিতে

Estimated read time 1 min read
Ad1

ইসমাইলুল করিম,বান্দরবান প্রতিনিধি:::

বান্দরবানে লামায় ফাইতং টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে বাড়িতে চরম হুমকি তে পড়েছে পাহড়ি এলাকার কয়েকটি পরিবার (বৃহস্পতিবার ২৯জুলাই)।

জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে লামায় ফাইতং’সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে টানা ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকাল হতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকগুন বেড়ে গেছে। তার আগে গত তিনদিনে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ৪১ মিলি মিটার।

বৃষ্টিতে ইতিমধ্যে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ফাইতং, খেদারবান, সুতাবাদী, মগনামা পাড়া, মহিষখালী পাড়া এলাকা’সহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে,এছাড়াও লামায় অনেকস্থানে পাহাড় ধসে পড়ে গেছে।

তবে বন্যা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা গুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে।

এদিকে লামায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করছে উপজেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।

অতিবৃষ্টিতে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় গত সোমবার বিকেলে জরুরি সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত তিনদিন ধরেভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

এ বিষয়ে ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জালাল উদ্দীন কোম্পানি বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দূর্ঘটনার আগে ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে ও মাইকিং করা হয়েছে।

লামায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজা রশিদ বলেন, পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী ও সহায়তা দেয়া ব্যবস্থা হয়,এ ব্যাপারে উর্ধ্বতম কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাহাড়ের পাদদেশে নির্মিত ঘরবাড়ি গুলোর ব্যাপারেও সতর্ক করা হয়।

লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল বলেন,ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির লক্ষ্যন খুব একটা ভালো মনে হচ্ছেনা।

এই ধারা অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা বাড়ছে। পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয় ।

এই অঞ্চলে জুন-জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমানটা বেশি হয় তিনি আরো বলেন, পাহাড় ধস ও বন্যার যে কোন সংবাদ পেলেই ত্রাণ সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours