রাজাপুরে প্যারাসিটামলের তীব্র সঙ্কট

Estimated read time 0 min read
Ad1

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি::

ঝালকাঠির রাজাপুরে গত দুই সপ্তাহে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি, ঠান্ডাসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।

বেশির ভাগ মানুষ করোনা পরীক্ষায় অনীহা প্রকাশ করছেন। তারা ঠান্ডা, জ্বর কিংবা ব্যথাজনিত রোগে অসুস্থ্য হয়ে করোনা পরীক্ষা না করে প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপা রেপিড, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা এক্সট্রা ও নাপা সিরাপ ঔষুধ সেবনের উপর নির্ভর করছেন। তাতে প্রয়োজনের চেয়ে চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েক গুণ।

এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ নাপা রেপিড, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা এক্সট্রা ও নাপা সিরাপের সাথে পরিচিত। উপজেলা সদরের তাকিয়া ফার্মেসি, ঝুমুর ফার্মেসি, মামুন ফার্মেসি, মডেল ফার্মেসি, খান মেডিকেল হল, মোহাম্মাদিয়া মেডিকেল কর্ণার, আবুল বাশার ড্রাগ হাউজ, মাষ্টার ড্রাগ হাউজ ও জাহিদ ফার্মেসিসহ একাধিক ফার্মেসির মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, রাজাপুর সদরের ফার্মেসিগুলোতে গত দুইমাস ধরে প্যারাসিটামল গ্রুপের বেক্সিমকো কোম্পানির নাপা রেপিড, নাপা এক্সটেন্ড, নাপা এক্সট্রা ও নাপা সিরাপ সরবরাহ না থাকায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফার্মেসিগুলোতেও নাপা পাওয়া যাচ্ছে না।

ফার্মেসি মালিকরা আরো বলেন, বেক্সিমকো কোম্পানির রাজাপুর উপজেলা মেডিকেল প্রমোশন অফিসার মোঃ অলিউল্লাহ ঔষুধের অর্ডার নিয়েও ঔষুধ দিচ্ছেন না।

প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপা ট্যাবলেট ও সিরাপ গত দুইমাস ধরে না থাকায় রোগীদের নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

উপজেলা সদরের বাইপাস সড়কের হিরু ফার্মেসির মালিক মোঃ হিরু বলেন, গত শুক্রবার অলিউল্লাহ নাপা সিরাপ ও ট্যাবলেট শনিবার দেয়ারকথা বললেও সে দেয়নি। ১/২ সপ্তাহ পরে এক বক্স ট্যাবলেট বা ২/৩ টি সিরাপ দিলেও তাতে এক ঘন্টাও চলেনা। অলিউল্লাহ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।এ বিষয়ে বেক্সিমকো কোম্পানির এই এলাকার এরিয়া ম্যানেজার মহাসিন ভালো বলতে পারবেন।

এবিষয়ে মোঃ মহাসিন বলেন, আমাদের কোম্পানির উৎপাদন আগের মতোই আছে। কিন্তু হঠাত করে জ্বর, সর্দি, ঠান্ডাসহ অন্যান্য উপসর্গের রোগী বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা পুরন করতে পারছিনা।

তবে নাপা জাতিয় ট্যাবলেট ও সিরাপ উৎপাদনের জন্য আমাদের কোম্পানি আলাদা একটি ইউনিট খুলছেন। চলিত আগষ্ট মাসে এ সমস্যা থাকবেনা।

রাজাপুর উপজেলা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি মেসার্স ছত্তার মেডিকেল হলের মালিক ডাঃ মোঃ আঃ ছত্তার বলেন, উল্লেখিত ঔষুধ সমুহ গত দুইমাস ধরে সরবরাহ নেই তাই ঔষুধ পাচ্ছিনা।

রোগীদের একই ধরনের অন্য কোম্পানির ঔষুধ দিলেও সহজে তা নিতে চাচ্ছেন না। তাই নাপার বিভিন্ন ট্যাবলেট ও সিরাপ না পেয়ে রোগীদের নিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours