আজিজুল হক চৌধুরী >> বোয়ালখালী:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে মাদক নির্মূলে জনগণকে আরো বেশি সচেতন করতে থানা পুলিশের উদ্যোগে গ্রহণ করা হয়েছেনানামুখী কার্যক্রম।
এসব কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং এবং ওপেন হাউস ডে’র মাধ্যমে মাদকের নির্মূলে জনগণকে সচেতন করার কার্যক্রম চলছে। এছাড়াও মাদকের বিরোধী মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, সভা, সমাবেশ করছেন বোয়ালখালী থানা পুলিশ।
ফলে আগের চেয়ে মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ী আটকের সংখ্যা অনেকাংশে বেড়েছে। অপরাধ বা মাদক ব্যবসা ছেড়ে কেউ যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই তাহলে তাদের পুনর্বাসনে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে জানানো হয়। পুলিশের এ গণমুখী উদ্যোগে অপরাধ ও মাদক নির্মূল রাখবে বলে আশাবাদী সাধারণ জনগণ, তারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে।
থানা পুলিশ তথ্য মতে, মাদক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বিগত কয়েক মাসে অভিযান চালিয়ে ২০৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক ও আদালতে প্রেরণ করেন। আটককালে ১৩ হাজার ২০০ পিচ ইয়াবা, ১০ হাজার লিটার চোলাই মদ ও ৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। মাদক পরিবহনে ৬টি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয় এবং এদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ১১২টি মামলা দায়ের করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
উপজেলার আহলা কড়লডেঙ্গা, জৈষ্ঠ্যপুরা, দাশের দীঘি, আমুচিয়া, কানুনগোপাড়া, কালাইয়ারহাট এলাকায় পাহাড়ি চোলাই মদ স্থানীয় কিছু অসাধু মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে বিভিন্ন পরিবহনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় পাচার করে থাকেন। এগুলো উপজেলা পৌরসভা এলাকাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক স্থানে মাদক বেচাকেনা হয়।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম বলেন, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশনায় মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানেই মাদকের খবর পাচ্ছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদক নির্মূলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ এলাকার সুশীল সমাজ এগিয়ে আসলে মাদক নির্মূল অনেকাংশে সহজ হবে। প্রয়োজনে তথ্য প্রদানকারী ও সহায়তাকারীদের নাম ঠিকানা গোপন রাখা হবে। এছাড়াও কেউ মাদক ব্যবসা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পূর্নবাসনে সবরকম সহযোগিতা করা হবে।
+ There are no comments
Add yours