বিপুল মিয়া,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :::
দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল খবর বাংলা’র সংবাদ প্রকাশের পর অসহায় বৃদ্ধা আবিয়া বেওয়ার চাওয়া পুরণ হলো। খুশির খবর পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন বৃদ্ধা আবিয়া বেওয়া।
গত ৩ আগষ্ট দেশের জনপ্রিয় খবর বাংলা’র বৃদ্ধা মায়ের দায়িত্বে পঙ্গু মেয়ে সহ ৫ নাতি-নাতনি! একটা হুইল চেয়ার পাইনা, ভাতা-ঘর কাই দিবে””শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোছা.আকলিমা বেগমের নজরে আসে।
তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে খবর বাংলা’র ফুলবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধির সঙ্গে ফোনে ঐ অসহায় পরিবারটির বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন এবং সরকারি ভাবে অসহায় পরিবারটিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন ইউএনও।
গত বৃহস্পতিবার (৫ই আগষ্ট) দুপুরে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলামকে সঙ্গে করেই জীবনযুদ্ধে অসহায় বৃদ্ধা আবিয়া বেওয়ার বাড়ীতে যান।
এই রিপোর্টটির সত্যতা পেয়ে আবিয়া বেওয়া ও তার পঙ্গু মেয়ে মর্জিনা বেগমসহ তার বাড়ীতে থাকা দুই ছেলে ও এক মেয়ের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে। এসময় আবিয়া বেওয়া পঙ্গু মেয়ে ও ৫ নাতি-নাতনিকে নিয়ে কষ্টের জীবন-কাহিনী তুলে ধরেন।
এর পর ইউএনও (ভারপ্রাপ্ত) মোছা.আকলিমা বেগম আবিয়ার হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন এবং আবিয়া বেওয়ার পঙ্গু মেয়ে মর্জিনা বেগমের জন্য নতুন একটি হুইল চেয়ার ও তার প্রতিবন্ধী ভাতা ব্যবস্থা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই দিবেন। সেই সাথে আপাতত তাদের ভাঙ্গাচুরা ঘরের মেরামত করার জন্যও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউএনও।
ইউএনও এমন প্রতিশ্রুতির পর খুশিতে আবারও কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আবিয়া।তিনি জীবনে কখনো ভাবেনি এতো বড় মাপের একজন সরকারি কর্মকর্তা তার বাড়ীতে আসবেন।তার সব চাওয়া পুরণ হওয়ায় সরকারি কর্মকর্তা ইউএনওকে ধন্যবাদ জানান বৃদ্ধা আবিয়া ও তার পঙ্গু মেয়ে মর্জিনাসহ এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. আকলিমা বেগম জানান,প্রতিবন্ধী মর্জিনার জন্য কয়েকদিনের মধ্যে একটি হুইল চেয়ার ও ভাতার ব্যবস্থাও করা হবে।বরাদ্দ না থাকায় আপাতত তাদের ভাঙ্গা চুরা ঘর নতুন টিন দিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
বরাদ্দ আসলে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সরকারি পাকা ঘরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। শেষে অসহায় বৃদ্ধার এই করুণ কাহিনী খবর বাংলা’য় তুলে ধরার জন্য খবর বাংলা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান ইউএনও।
+ There are no comments
Add yours