আকাশ মারমা মংসিং বান্দরবান:::
বৈশিক মহামারি কোভিড-১৯ রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত গণহারে টিকা দান কার্যক্রম জেলা ভিত্তিক অব্যাহত থাকলেও গত ৭আগস্ট থেকে ইউনিয়ন ও ওর্য়াড পর্যায়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
কিন্তু টংকাবতী ইউনিয়নে ১ ও ২নং ওয়ার্ডে ম্রো করোনা ভ্যকক্সিন টিকা নিতে আগ্রহী নয় ম্রো জনগোষ্ঠিরা। এতে হতাশ দেখা গেছে সচেতন নাগরিক ও জন প্রতিনিধিদের।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বান্দরবান শহর হতে টংকাবতী ইউনিয়নে দুরত্ব প্রায় ১১ কিলোমিটার। যেখানে দুর্গম পাহাড়ে এলাকায় বিদ্যু ও নেটওয়ার্ক এখনো পৌছাইতে পারেনি।
ফলে গ্রামে বাসিন্দারা বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক হতে বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা অজ্ঞাত।তবে গেল কয়েকদিন আগে পশু টিকা প্রয়োগ করে সেটি মৃত্যু গুজব ছড়াছড়ি হলে এখন করোনা টিকা নিতে রাজি নয় উক্ত ইউনিয়নে এলাকায় বাসিরা।
এইদিকে বান্দরবান শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলোতে টিকা আগ্রহীদের ভীড় লেগে আছে। কিন্তু বান্দরবানে (কোভিড -১৯) করোনা গণহারে টিকার কার্যক্রম শুরু হলেও সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়নের ম্রো সম্প্রদায়ে টিকা গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করেছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রত্যেক ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ৬০০টি করোনা টিকা প্রদানের বরাদ্দ করা হয়েছে।যেখানে দূর্গম পাহাড়ী এলাকা নেটওর্য়াক বিহীন হওয়ায় তাদের সুবির্ধাতে ভোটার আইডি র্কাড প্রর্দশনের মাধ্যমে ২৫ বছর বয়সীদের টিকা দান শুরু করেছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
ইউনিয়নে সদস্য রাংরিং ম্রো বলেন, ওই এলাকার কিছু মানুষের এমন গুজব ছড়িয়েছে এই টিকা নিলে নাকি পরবর্তীতে শরীরে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের টিকা গ্রহণের সুফল বোঝানোর পরও ঐ এলাকার ম্রো সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীরা টিকা নিতে বেশিরভাগই রাজী হয়নি।
⇑
বান্দরবান সদর উপজেলার টংকাবতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্লুকান ম্রো জানান, অত্র ইউনিয়নের টিকা বরাদ্ধ হয়েছে ৬০০টি। এতে ১,২,৩নং ওর্য়াডে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও শুধুমাত্র ৩নং ওর্য়াডের ৭০জন টিকা গ্রহণ করেছে। কিন্তু ১ও২ নং ওর্য়াডের বাসীন্দারা ভয়ে টিকা গ্রহণ করতে আসেনি।
এই বিষয়ে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডাঃ অংসুইপ্রু বলেন, বিষয়টি নিয়ে অবগত আছি। টংকাবতি ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ২টি ওর্য়াডের যারা টিকা গ্রহণে আগ্রহী নয়,তাদেরকে পরবর্তীতে এই টিকা গ্রহণের আওতায় অবশ্যই আনা হবে জানান এই কর্মকর্তা।
+ There are no comments
Add yours