বিপুল মিয়া,ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :::
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা বেগুন চাষের এক উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন।
বেগুন লাভজনক ফসল হওয়ায় যে সব চাষিদের নিজস্ব জমি নেই তারাও অন্যর জমি লিজ নিয়ে বেগুন চাষ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। এবছরও অধিক লাভের আশায় এ অঞ্চলের চাষিরা আগাম শীতের সবজি বেগুন চাষ করছেন।
বেগুন চাষে লাভ হওয়ায় দিনে দিনে বেগুন চাষ আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে। উপজেলার অন্য ইউনিয়নের তুলনায় নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে বেগুনসহ বিভিন ধরণের সবজি চাষে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চলতি মৌসুমে কোন জমি আর ফাঁকা নেই কৃষকের মাঠ জুড়ানো সবুজের সমারাহ। এখন মাঠ জুড়ে সবুজ রঙে সাজিয়ে তুলিছে প্রকৃতির অপরুপে ।
সকাল হলেই কৃষকেরা বেগুন ক্ষেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অঞ্চলের কৃষকরা বেগুন চাষের পাশপাশি সারা মৌসুমে বিভিন্ন ধরণের সবজির আগাম চাষ করে বদলে দিয়েছে নিজের ভাগ্যের চাকা।
তবে এ বছর খরার মাত্রা বেশি থাকায় বেগুন চাষের পাশাপাশি অন্যান্য ফসলেও ব্যাপক চাষাবাদ হওয়ার কারণ বেগুনের দাম কম থাকায় চাষিরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কুরুষাফেরুষা এলাকার কৃষক ধীরেদ্র নাথ রায় জানান, তিনি এবার ২৫ শতক জমিতে আগাম বেগুন চাষ করেছে।
তিনি গত ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে বেগুন বিক্রি করছেন প্রতি মন ৫৫০ থক ৬০০ টাকা। তার ভাষায় এ বছর বেগুনের দাম নাই। তিনি গত বছর এই সময় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ টাকা দরে মন বেগুন বিক্রি করছেন।
তিনি আরও জানান প্রতি বিঘায় বেগুন রোপন করত খরচ হয় কমপক্ষ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। বেগুন ক্ষেতে রোগ মুক্ত ও আবহাওয়া অনুকুলসহ বেগুনের ভালো দাম থাকলে ৮০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।
যাবতীয় খরচ মিটিয়ে বিঘা প্রতি ৬০ থক ৭০ হাজার টাকা আয় হয়। কিন্তু এবার দাম না থাকায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি।একই এলাকার রাশিদুল ইসলাম,মন্টু বর্মন,হাসেম আলী, কমলা কান্ত রায়সহ অনেকেই জানান,আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবছর বেগুনের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে।
আগামী ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে বেগুন বিক্রি শুরু করতে পারবো। এমন দিন বেগুনের দাম ভাল থাকে। বেগুনের দাম ভাল না থাকলে লাভতো দূরের কথা লোকসান গুনতে হবে। তারা প্রত্যকই দেড় থেকে দুই বিঘা করে বেগুন চাষ করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান, চাষিদের বেগুন চাষ উদ্বুদ্ধ করা ও বিভিন্ন সহযোগীতা দেওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা বেগুন চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।এ অঞ্চলের মাটিতে বেগুন চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে খরিপ-১ প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করছেন।
অধিকাংশ কৃষক বেগুন বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এ বছরে খরার মাত্রা বেশি থাকায় বেগুনের পাশাপাশি অন্যান্য ফসলও ব্যাপক চাষাবাদ হওয়ায় বেগুনের দাম একটু কম।
তবে চাষিদের লোকসান হবে না। লাভের অংকটা একটু কমবে। এ দিকে শীত মৌসুমের জন্য উপজেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা আগাম বেগুনের চারা রোপন করেছে
+ There are no comments
Add yours