মোঃ জয়নাল আবেদীন,সীতাকুণ্ড
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল।এই অঞ্চলটি যেমন সমৃদ্ধ তেমন সম্ভাবনার ও বটে।তবে এই সীতাকুণ্ড উপজেলায় বেড়িবাঁধ একটি বিরাট সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।১৯৯২ সালে নির্মিত চট্টগ্রামের বার আউলিয়া থেকে মিরসরাই পর্যন্ত বেড়িবাঁধটি ইদানিং বাঁশবাড়িয়া,জোড়ামতল ও আকিলপুর এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।এই ভাঙ্গনে চরম হুমকির মুখে এলাকার সাধারণ মানুষ।ভিটে মাটি হারানোর চিন্তায় অনেকেই আছেন চরম কষ্টের মধ্যে।
গত এক বছর পূর্বে উপজেলার কুমিরা সাগর উপকূলীয় এলাকায় ৪০০ শত মিটার বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ৪০০ শত মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজে।কিন্তু একি এলাকায় নানা সমস্যার বেড়াজালে সাগর উপকূল ভেঙে যাওয়ার কারণে ওই প্রকল্পের অধীনে ২০০ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়নি।সংস্কারকৃত বেড়িবাঁধটি বছর যেতে না যেতেই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে।
প্রায় ১৫ বছর পূর্বে ৬০০ শত মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোড়ামারা এলাকায়।প্রায় সময় জোয়ারের পানিতে বিপদের সম্মুখীন হতে হতো স্থানীয়দের।সাগরের পানি লবণাক্ত হওয়ার কারণে ফসলের ব্যপক ক্ষতি এবং কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ত।দীর্ঘ ১৪ বছরে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মেরামতের আশ্বাস দিলেও বাস্তবতা ভিন্ন।দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অগ্রগতি ছিলনা।দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম ও জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলশাদ এর সহযোগিতায় গত বছর ৪০০ মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।কিন্তু দুঃখের বিষয় একি এলাকায় সমুদ্র উপকূলে ভাঙ্গন শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে ২০০ মিটার বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ করা সম্ভব হয়নি।এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বেড়িবাঁধের বেশ কিছু অংশে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।বেড়িবাঁধ অংশ থেকে বালির বস্তা সরে গিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ ফারুক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,পানি উন্নয়ন বোর্ড গত বছর বর্ষা মৌসুমে তড়িগড়ি করে বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করে।এর ফলে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে এই বিষয়ে মাসুদ নামের একজন বলেন,৬০০ শত মিটার বেড়িবাঁধের ৪০০ শত মিটার বেড়িবাঁধের সংস্কার কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।কিন্তু ২০০ শত মিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ দীর্ঘ ১৫ বছরে না হওয়ায় সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে থাকা হায়দার আলী বলেন,জায়গাটি পরিদর্শনে বেশ কয়েকবার যায়।ভাঙ্গনের অংশটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হওয়ায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।গত বছর নির্মান করা বেড়িবাঁধের কয়েকটি অংশ থেকে বস্তা সরে যাওয়ার তথ্য পেয়েছি।আগামী অর্থ বছরে সীতাকুণ্ডের ভাঙ্গা বেড়িবাঁধগুলো সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি।বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি।
+ There are no comments
Add yours