ঝালকাঠি পৌর কাউন্সিলরকে কুপিয়ে জখম দুবৃত্তরা

Estimated read time 1 min read
Ad1

আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি:::

ঝালকাঠি পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও হ্যন্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হুমায়ুন কবির খান’কে উপুর্যপুরী কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে দুবৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় পৌর এলাকার পালবাড়ি সড়কে কাউন্সিলর কুদ্দুস হাওলাদারের বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ঘটনার সুত্রপাত ঘটে রাত ৯ টায়। বন্ধুদের নিয়ে শুক্রবার পেয়ারাবাগান পিকনিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো কাউন্সিলর হুমায়ুনের ছেলে আবিদ খান (১৭)। পিকনিকের প্রস্তুতিতে বাধা এবং কথা কাটাকাটি হয় কিশোর বয়সী আরেকটি গ্রুপের সাথে।

সেই গ্রুপটি কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের ছেলেকে পিটিয়ে আহত করে এ নিয়ে দুপক্ষে হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া।পরবর্তীতে কাউন্সিলর হুমায়ুন কবিরের পালবাড়ির বাসায় হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী রুমা বেগমকেও আহত করা হয়।

ঘটনার সময় কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খান পশ্চিম ঝালকাঠি ফেরীঘাট এলাকায় অন্য বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তাকে বাসা থেকে খবর দেয়া হলে রাত ১১টার দিকে অতুল মাঝির খেয়া পার হয়ে পালবাড়িতে আসার পথিমধ্যে দুবৃত্তরা হুমায়ুনকে উপুর্যপুরী পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।এতে তার বাম হাতের কব্জি দু’ভাগ হয়ে যায়।

আহত কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির খান’কে চিকিৎসার জন্য ঝালকাঠি থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাত দেরটায় তাকে সেখান থেকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। হুমায়ুন’কে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স রাত দেরটায় ঢাকার উদ্দেশ্যে বরিশাল ত্যাগ করেছে।

তাৎনক্ষনিক প্রতিকৃয়ায় হুমায়ুনের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয় ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল শরীফের ভাই ইদ্রিস শরীফ, ইলিয়াস শরীফ এবং জামাল শরীফ ২০/২৫ জন লোক নিয়ে এসে এ হামলা চালিয়েছে।

পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে কাউন্সিলর ও তার পবিরারের সদস্যদের। সেইসাথে ভাংচুর চালানো হয়েছে বসতঘরে।

এদিকে অভিযোগ যাদেরকে করা হচ্ছে, সেই জামাল শরীফ, ইলিয়াস ও ইদ্রিসের সাথে কথা হয় এ প্রতিনিধির। জামাল শরীফ বলেন, ঘটনার সময় তিনি তার বরিশালের বাসায় অবস্থান করছিলেন, সেখানে থেকে তিনি ঘটনা শুনেছেন। অন্যরাও বলছেন এঘটনার সাথে তারা মোটেই জড়িত নয়।

কাউন্সিলর কামাল শরীফ বলেন, এলাকায় ধাওয়া-ধাওয়ী, গ্যাঞ্জাম, চুরি যাহা কিছুই ঘটুক না কেনো সব সময় হুমায়ুন কবির গংরা আমাকে এবং আমার ভাইদেরকে দোষারোপ করে আসছে।

কাউন্সিলর হিসেবে আমার কাজে বাধাগ্রস্থ করাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য বলে আমি মনে করি। হুমায়ুন কবিরকে যেভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে সেটা সত্যিই কষ্টদায়ক।

এটা কখনোই কাম্য নয়। কামাল আরো বলেন, আমি বা আমার কোনো ভাই এঘটনায় জড়িত থাকলে সকল বিচার মাথা পেতে নিবো।

কিন্তু যারা এধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করে আমাদের উপর মিথ্যে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে তাদের সনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনাহোক। আমি কাউন্সিলর হিসেবে এলাকায় শান্তি চাই।

ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ খলিলুর রহমান বলেন, ঘটনা ঘটেছে কিন্তু কারা ঘটিয়েছে তার কোনো প্রমান এখনো পাইনি। তাই আপাততো ধরেনিচ্ছি অজ্ঞাত দুবৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে।

থানায় এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।তবে এ মুহুর্তে পালবাড়ি এলাকায় সহিংসতা এড়িয়ে শান্তিময় পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশি টহল জোড়দার করা হয়েছে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours