নিজস্ব প্রতিবেদক :
বান্দরবানের লামায় আজিজনগর জেনারেল হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় ৩ বছর বয়সী এক শিশুর (১৮ আগষ্ট) বুধবার সকাল ৯টায় মৃত্যু হয়েছে।শিশুর নাম ইয়াসিন আরাফাত।বাড়ী মাইজ কাকারা,চকরিয়া,কক্সবাজার।
গতকাল শিশুটিকে হার্নিয়ার সমস্যায় চকরিয়ার মালুমঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় জনৈক দালালের খপ্পরে পড়ে শিশুটির অভিভাবক শিশুটিকে নিয়ে আজিজনগর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সেখানে ২০০০০ টাকা কন্ট্রাকে শিশুটির অপারেশন করা হয়।অপারেশনের পর শিশুটির শারীরিক অবস্হায় অবনতি ঘঠলে তাকে হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স Clindamycin ক্যাপসুল খাইয়ে দিলে তা গলায় আটকে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটির মৃত্যু হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হাসপাতালটি একজন প্যারামেডিক্স দ্বারা পরিচালিত হয়।হাসপাতালের মালিক ডাঃ জেমস ইটেন মালুমঘাটে বসে দালাল দ্বারা রোগী কন্ট্রাক্ট করে অপারেশন করেন।
হাসপাতালে নেই কোন এ্যানেসথিউলজিস্ট।তাছাড়া তিনি শুধুমাত্র এম বি বি এস।একজন বিশেষজ্ঞ সার্জারি আর এ্যানেসথিউলজিষ্ট ছাড়া অপারেশন কতটা বৈধ? এ প্রশ্ন সবার।
নিহতের পরিবারের ও এলাকাবাসীর ক্ষোভের প্রেক্ষিতে ডাঃ জেমস পরিবারের সদস্যদের ২৪০০০ টাকা ক্ষতিপুরন দিয়ে আপোষনামায় স্বাক্ষর ও নাদাবী নামা নেন। নাদাবীনামায় ডাঃ জেমস উল্লেখ করেন শিশুটিকে Clindamycin সিরাপ খাইয়েছেন।
অথচ নিহতের পরিবারের দাবী শিশুটিকে ক্যাপসুল খাইয়ে দিলে তা গলায় আটকে শিশুটির মৃত্যু হয়।জেনারেল হাসপাতালে অতীতে ও অনেক ভূল চিকিৎসায় অনেক মৃত্যু,ও জঠিল সমস্যার সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালের বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে লামা উপজেলা স্বাস্হ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মহিউদ্দীন মাজেদ চৌধুরী জানান লামা উপজেলায় কোন বৈধ প্রাঃ হাসপাতাল নেই।
দালালবেষ্টিত অনুমোদনবিহীন এ হাসপাতালের কার্য্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতনমহল ও ভূক্তভোগী পরিবার।
+ There are no comments
Add yours