আমির হোসেন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির বিষখালী নদীর আকস্মিক ভাঙনে সাইক্লোন সেল্টারের চাপায় নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া আফছার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্র নেয়ামত উল্লাহ (১৬) খোঁজ মেলেনি আজো। ঘটনার তিন দিন পাড় হলেও নির্নয় করা যায়নি কোথায় আছে নেয়ামতের দেহ। গত ২৪আগষ্ট মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় সদর উপজেলার পোনাবালীয়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেউরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টারের অর্ধেক অংশ এবং একটি আধাপাকা মসজিদ ভেঙে বিষখালী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। নদীর ভাঙন ভিডিও করতে গেলে ঐ ভবনের নিচে চাপা পরে তলিয়ে যায় একই ইউনিয়নের আফসার মেমোরিয়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী নেয়ামত উল্লাহ।
বরিশাল নৌ-ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ষ্টেশন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলটি তিনটি নদীর মোহনায় হওয়াতে এখানে প্রচন্ড শ্রোত রয়েছে। উদ্ধার অভিযানে আমাদের ডুবুরিদের বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। তবে নিখোঁজ কিশোরকে এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি বেল্লাল হোসেন জানান, যেখানে ভবনটি নিমজ্জিত হয়েছে সেই জায়গাটিতে পানির নাব্যতা প্রায় ৬০ ফুট। পানির নীচে ভাঙা ভবনের দুটি ছাদ একত্র হয়ে আছে। কংক্রিট আর রডের জন্য আমরা কাজ করতে পারছিনা।
নলছিটি ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, নিখোঁজ নেয়ামত যদি ভাঙা ভবনের ছাদের নীচে চাপা পড়ে থাকে তাহলে পানির নীচ থেকে ছাদের অংশ সড়ানো না গেলে নেয়ামতের দেহ বের করা সম্ভব হবেনা। তিনি আরো জানান, গত চব্বিশ ঘন্টায় পলিপরে দ্রুত ঢেকে যাচ্ছে ভাঙা ভবনের অংশ।
উল্লেখ্যে, গত ২৪আগষ্ট’২১ মঙ্গলবার দুপুর সাগড়ে ১২ টায় বিষখালী নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে তলিয়ে যায় ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরি সরকারী প্রাধমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেল্টার ও একটি আধাপাকা মসজিদ। এর আগে সকাল ১০ টায় বিদ্যালয়টির পশ্চিম অংশে থাকা সেইফটি টাংকি নদীতে তলিয়ে যায়। তার পরেই শিক্ষকরা বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলায় থাকা মালামাল সরিয়ে নিচ্ছিলো। তখন ভবনের নিচ তলায় ভাঙনের দৃশ্য ভিডিও করতে ছিলো অনেকেই। ভবনটি যখন দেবে যায় তখন সবাই দৌড়ে নিরাপদে সরে যেতে পারলেও ছাদের নীচে চাপা পরে নদীতে তলিয়ে যায় নেয়ামত নামের এক শিক্ষার্থী। এমনটি জানিয়েছেন প্রতক্ষদর্শী কে.এম খায়রুল ইসলাম।
+ There are no comments
Add yours