◾মোঃ মাহবুবুল আলম
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সমস্যা নতুন কিছু নয়। বেশ কয়েক বছর ধরেই এ সমস্যাকে সঙ্গী করে বসবাস করছেন নগরবাসী। কিন্ত সম্প্রতি মুরাদপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনায় নতুন করে মোড় এসেছে এ বিষয়ে। চলছে নানা জল্পনা কল্পনা৷
সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সব এলাকা-সড়ক। থইথই পানিতে বোঝা মুশকিল কোনটি সড়ক কোনটি নালা কিংবা ডোবা। পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া এসব সড়কে প্রায়শই ঘটছে নানা দূর্ঘটনা প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। সম্প্রতি মুরাদপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনাতো হতবাক করে দিয়েছে নগরবাসীকে।
মুরাদপুরে নালায় পড়ে নিখোঁজ হওয়া পথচারীর জীবিত কিংবা মৃত কোনো সন্ধানই এখনো পর্যন্ত মেলেনি। হতভাগ্য সে পথচারীর সাথে ঘটে যাওয়া এমন করুন দৃশ্যটি শুধু চট্টগ্রাম বাসী নয় নাড়া দিয়েছে পুরো দেশকে।
এঘটনায় নগরবাসী দূষছেন অপরিকল্পিত ও অনিরাপদ ড্রেনেজ ব্যবস্থাকেই। একে তো সড়কে জলাবদ্ধতায় বোঝা মুশকিল কোনটি সড়ক কোনটি নালা তার ওপর বড় বড় এসব নালায় নেই কোনো বেড়া কিংবা স্ল্যাপ যার কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল ঘটছে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা। সম্প্রতি মুরাদপুরের ঘটনার পর অবশ্য নড়েচড়ে বসেছেন সিটি কর্পোরেশন। উন্মুক্ত এসব ঝুঁকিপূর্ন নালায় বেড়া-স্ল্যাব বসানোর ঘোষণাও দিয়েছেন সিটি মেয়র। মেয়রের এমন পদক্ষেপের ঘোষণা চট্টগ্রামবাসীর মনে নিশ্চিত কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করবে তা বলতে দ্বিধা নেই। যতদ্রুত সম্ভম এটি বাস্তবায়ন ঘটলে কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে নগরবাসী।
জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। নগরীর খালগুলো উদ্ধার করে পানি চলাচলের উপযোগী করতে পারলে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে । তাছাড়া, নালা-নর্দমা ভরাট করে যারা বিল্ডিং নির্মাণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রভাবশালী এবং পেশীশক্তি- রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করাটাই চ্যালেঞ্জ।
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ প্যানেল করে তাদের পরামর্শ নিয়ে একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে উপযুক্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবী । সিটি করপোরেশন, সিডিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ কাজে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসলে হয়তো ব্যবস্থা সহজ হবে।
লেখকঃ সম্পাদক ও প্রকাশক, খবর বাংলা টোয়েন্টিফোর ডট নেট
+ There are no comments
Add yours