ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, দেশে রোগীপ্রতি বছরে মাত্র ৯ ডলার খরচ করেই দেওয়া সম্ভব উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের মানসম্মত চিকিৎসা।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন একটি পরীক্ষামূলক ‘অত্যন্ত সফল’ প্রকল্প পরিচালনা করছে, যা দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।
বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর প্যান পাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে ‘বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভস’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (এনসিডিসি) প্রোগ্রাম, প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) ও রিজলভ টু সেভ লাইভস।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির বার্ষিক বাস্তবায়ন খরচ নির্ণয়ে ব্যবহৃত হার্টস কস্টিং টুল নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে এ গবেষণায় সুপারিশ করা হয়েছে যে, ডাক্তার এবং এ সেবার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগাভাগি (টাস্ক-শেয়ারিং) নিশ্চিত করা, টাস্ক-শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে পুরো প্রক্রিয়ায় স্থানীয় কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করা এবং গুণগত মান ঠিক রেখে প্রতি ইউনিট ওষুধের দাম আরও কমিয়ে আনা গেলে হার্টস প্যাকেজ বাস্তবায়ন আরও বেশি সাশ্রয়ী হবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনায় নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ভূমিকা আরো বাড়ানো হলে বিপুল অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব। একইসঙ্গে এ সেবা দেশজুড়ে আরও বেশি বাস্তবায়নযোগ্য এবং রোগীদের জন্য সহজপ্রাপ্য করে তোলা সম্ভব হবে। গবেষণাটি ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের অর্থায়নে পরিচালিত হয়েছে।