প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্ট আমার বাবা-মাকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা করে আমাকেও হত্যার চেষ্টা করা হয়। এরপরও তাদের সাথে বৈঠকে বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে।
সদ্য সমাপ্ত কাতার সফর নিয়ে আজ (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্ট আমার বাবা-মায়ের হত্যাকারী; গ্রেনেড হামলা, বোমা হামলা করে আমাকে হত্যার চেষ্টা; তারপরও তাদের সাথে বসেছি শুধু দেশের স্বার্থে। শুধু তা-ই নয়, খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মারা গেল, আমি গেলাম দেখতে। একজন সন্তানহারা মাকে সহানুভূতি জানাতে। আমাকে কীভাবে অপমানটা করল, আমার গাড়ি ওই বাড়ির মধ্যে ঢুকতে দিল না, বড় গেইট বন্ধ; টেলিফোন করে সময় নেওয়া হয়েছিল। আমি এসময় আসব, তারা কী করল, বড় গেইট বন্ধ করে দিল। পরে ছোট গেইটে গেলাম, আমার গাড়ি যাওয়ার পর সেটাও বন্ধ করে দিল। এত অপমানের পর তাদের সঙ্গে কীসের বৈঠক?’
নতুন রাষ্ট্রপতির প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার (মো. সাহাবুদ্দিন) মধ্যে দায়িত্ববোধ, রাজনৈতিক সচেতনতা, দেশপ্রেম ও ব্যক্তিত্ব আছে। আমরা চাইব যেন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তারও সবসময় এই প্রচেষ্টাই থাকবে নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। কারণ গণতন্ত্রের জন্য আমরা সংগ্রাম করেছি। সেজন্য তাকে বেছে নেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (সাহাবুদ্দিন) একজন পোড় খাওয়া মানুষ। বীর মুক্তিযোদ্ধা। পঁচাত্তর পরবর্তী জিয়াউর রহমান তাকে গ্রেপ্তার করে ডান্ডাবেড়ি দিয়ে রেখেছিলেন। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী। দীর্ঘদিন তিনি জুডিশিয়াল সার্ভিসে চাকরি করেছেন। পরে বিএনপির সময় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তিনি নিজেও এত প্রচার করতে চাননি।’