কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলে ৫৮টি মা কাছিম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে ৭ হাজার ৫২৮টি ডিম।
২৩ মার্চ সন্ধ্যায় ২৭০টি কাছিমছানা জন্ম নেয়। জন্মের পরই সাগরের নোনাজলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ কাছিমছানাগুলো সাগর-মহাসাগরে ১৯ বছর বিচরণ করবে।
এদিকে সামুদ্রিক কাছিম প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
মূলত রাতের আঁধারে বেলাভূমিতে উঠে আসে মা কাছিম। গোপনে ডিম পেড়ে লুকিয়ে রাখে বালির নিচে। এক-দুই দিন করে ৬০-৬৫ দিন পেরিয়ে ডিম ফুটে বেরিয়ে আসে খুদে কাছিমের ছানারা। মা কাছিম থেকে ডিম ফুটে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দেখভাল করে রাখে কাছিম সংরক্ষণকারীরা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ইউএসএআইডির অর্থায়নে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) ইকো লাইফ প্রকল্পের কাছিম হ্যাচারিতে বাচ্চাগুলো ফোটানো হয়।
নেকম-ইকো লাইফ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান বলেন, গত তিন বছরের তুলনায় এ বছর কচ্ছপ ডিম বেশি দিয়েছে। ২০২২ সালে ৫৪টি স্পটে কাছিম ডিম দিয়েছিল ৫ হাজার ৭৬৩টি। এর আগের বছর ২০২১ সালে ডিম দেয় ৪ হাজার ৭১৩টি। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর হার ৮৬ শতাংশ। আর চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে কাছিমের ৭ হাজার ৫২৮টি ডিম।
তবে এ বিষয়ে কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা।
+ There are no comments
Add yours