সরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৩ জন শিক্ষক ৪ জন

Estimated read time 1 min read
Ad1

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র তিনজন। এদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক রয়েছেন চারজন। প্রতিদিন একজন বা দুইজন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। চার শিক্ষকের মধ্যে তিনজনই বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন।

জানা গেছে, ২০১৩-১৪ সালে ‘১৫০ বিদ্যালয়’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় ২০ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে এলজিইডি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৪ সাল থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বিদ্যালয়টি। শুরুর দিকে অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে প্রায় শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক। শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে একজন বা দুইজন!

গত বুধবার (১৫ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষগুলোর দরজায় তালা ঝুলছে। স্কুলে একজন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষার্থী উপস্থিত আছেন। অপর তিনজন শিক্ষক ও দুজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। শিক্ষকদের অফিস রুমে বসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোখসানা খাতুন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সোহানকে পড়াচ্ছেন। 

এই বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক হলেন- রোকসানা খাতুন, সাদিয়া খাতুন, ফিরোজা খাতুন ও শাহিদা খাতুন।  তারা সবাই সহকারী শিক্ষক। তবে রোকসানা খাতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

স্থানীয়রা বলেন, আবাসন প্রকল্পের ঘর বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যাতায়াতের ব্যবস্থা ভালো না। এজন্য আবাসনের ঘর ফেলে চলে গেছে অনেকে। এ কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীরাও পরিবারের সঙ্গে চলে যায়। শিক্ষকরাও নিয়মিত স্কুলে আসেন না। 

আবাসন প্রকল্পের ১২০টি ঘরের মধ্যে ৭০টি ঘর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বাকিগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পরিত্যক্ত ঘরে গরু-ছাগল লালনপালন করা হচ্ছে। বেহালদশার কারণে ৮০ পরিবার আবাসন ছেড়ে চলে গেছে। তারপরও জরাজীর্ণ অবকাঠামোতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ভূমিহীন ৪০ হতদরিদ্র পরিবার। দ্রুত সংস্কার করে আশ্রয়ণটি টিকিয়ে রাখার দাবি জানিয়েছেন প্রকল্পের বাসিন্দারা। অনেকে আবাসন ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে।  

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম মিকাইল ইসলাম বলেন, আবাসনের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করা হচ্ছে। তাদেরকে একক ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে। স্কুলের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক https://khoborbangla24.net

বিশ্বজুড়ে দেশের খবর

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours